স্বালাতে মুবাশ্‌শির নামাযের নিয়মাবলি আবদুল হামীদ ফাইযী
কওমাহ্‌

অতঃপর আল্লাহর রসূল (ﷺ) রুকূ থেকে মাথা ও পিঠ তুলে সোজা খাড়া হতেন। এই সময় তিনি বলতেন,

سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه।

“সামিআল্লাহু লিমানহামিদাহ্‌।” (অর্থাৎ, আল্লাহর যে প্রশংসা করে তিনি তা শ্রবণ করেন। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৭৯৯ নং)

নামায ভুলকারী সাহাবীকে তিনি এ কথা বলতে আদেশ করে বলেছিলেন, “কোন লোকেরই নামায ততক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তকবীর দিয়েছে ---- অতঃপর রুকূ করেছে --- অতঃপর ‘সামিআল্লাহু লিমানহামিদাহ্‌’ বলে সোজা খাড়া হয়েছে।” (আবূদাঊদ, সুনান ৮৫৭ নং, হাকেম, মুস্তাদরাক)

এই সময়েও তিনি উভয়হাতকে কাঁধ অথবা কানের উপরিভাগ পর্যন্ত তুলতেন; যেমন এ কথা পূর্বে আলোচিত হয়েছে।

মালেক বিন হুয়াইরিস (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (ﷺ) তাকবীরে তাহরীমার সময় কান বরাবর উভয় হাত তুলতেন। আর যখন তিনি রুকূ থেকে মাথা তুলতেন ও ‘সামিআল্লাহু লিমানহামিদাহ্‌’ বলতেন তখনও অনুরুপহাত তুলতেন।’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৭৯৫নং)

উক্ত কওমায় তিনি এরুপ খাড়া হতেন যে, মেরুদন্ডের প্রত্যেক (৩৩ খানা)হাড় নিজ নিজ জায়গায় ফিরে যেত। (বুখারী ৮২৮, আবূদাঊদ, সুনান, মিশকাত ৭৯২নং)

তিনি বলতেন, “ইমাম বানানো হয় তার অনুসরণ করার উদ্দেশ্যে। সুতরাং ---সে যখন ‘সামিআল্লাহু ---’ বলবে তখন তোমরা ‘রাব্বানা অলাকালহাম্‌দ’ বল। আল্লাহ তোমাদের প্রশংসা শ্রবণ করবেন। কারণ, আল্লাহ তাবারাকা অতাআলা তাঁর নবী (ﷺ) এর মুখে বলেছেন, ‘সামিআল্লাহু লিমানহামিদাহ্‌’ (অর্থাৎ, আল্লাহর যে প্রশংসা করে তিনি তা শ্রবণ করেন)। (মুসলিম, সহীহ ৪০৪, আহমাদ, মুসনাদ, আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ৯৭২নং)

অন্য এক হাদীসে তিনি উক্ত কথা বলার ফযীলত প্রসঙ্গে বলেন, “---যার ঐ কথা ফিরিশ্‌তাবর্গের কথার সমভাব হবে, তার পূর্বেকার পাপসমূহ মাফ হয়ে যাবে।” (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, সুনান, আবূদাঊদ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, নাসাঈ, সুনান, মিশকাত ৮৭৪নং)

পূর্বের বর্ণনা থেকে এ কথা বুঝা যায় যে, ইমাম ‘সামিআল্লাহু ---’ বললে মুক্তাদী ‘রাব্বানা অলাকালহাম্‌দ’ বলবে। তবে এখানে এ কথা নিশ্চিত নয় যে, মুক্তাদী ‘সামিআল্লাহু ---’ বলবে না। বরং মুক্তাদীও উভয় বাক্যই বলতে পারে। যেহেতু আল্লাহর নবী (ﷺ) উভয়ই বলেছেন। (দেখুন, মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান, প্রভৃতি, মিশকাত ৭৯৩নং, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ১৩৫-১৩৬পৃ:)