লগইন করুন
মহানবী (ﷺ) বলেন, বিলাল রাতে (ফজরের পূর্বে) আযান দেয়। সুতরাং ইবনে উম্মে মাকতূম (ফজরের) আযান না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা খাও ও পান কর।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬৮০নং)
উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ফজরের পূর্বে তাহাজ্জুদ ও সেহ্রীর আযান মহানবী (ﷺ) এর যুগে প্রচলিত ছিল এবং আজও পর্যন্ত সে সুন্নত মক্কা-মদ্বীনা সহ্ সঊদী আরবের প্রায় সকল স্থানে সেহ্রীর ঐ আযান (বিশেষ করে রমযানে) শুনতে পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে আমাদের দেশে প্রায় সকল স্থানে ঐ সময়ে আযানের পরিবর্তে শোনা যায় কুরআন ও গজল পাঠ! সুতরাং এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, সুন্নতের জায়গা দখল করেছে মনগড়া বিদআত।
অনেকে বলে থাকেন, উভয় সময়ে আযান হলে লোকেরা গোলমালে পড়বে; সেটা সেহ্রীর না ফজরের আযান -এ নিয়ে সন্দেহে পড়বে। কিন্তু পৃথক পৃথক উভয় সময়ের জন্য নির্দিষ্ট দু’জন মুআযযিন আযান দিলে গোলমালের ভয় থাকে না। তা ছাড়া সেহ্রীর আযানে
الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِّنَ النَّوْم শব্দ থাকবে না। অতএব সকল প্রকার ওজর-আপত্তি ত্যাগ করে বিদআত বর্জন করতে এবং সুন্নাহর উপর আমল করতে আল্লাহ আমাদের তওফীক দিন। আমীন।