লগইন করুন
মহান আল্লাহ বলেন,
“কি আশ্চর্য! তোমরা নিজেদের বিস্মৃত হয়ে মানুষকে সৎকাজের নির্দেশ দাও, অথচ তোমরা কিতাব (গ্রন্থ) অধ্যায়ন কর, তবে কি তোমরা বুঝ না?” (বাকারাহঃ ৪৪)
রাসুল (সঃ) বলেছেন, “কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে তাঁর নাড়িভুঁড়ি বের হওয়ে যাবে এবং সে তাঁর চারপাশে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তাঁর চাকির চারপাশে ঘুরতে থাকবে। তখন জাহান্নামীরা তাঁর কাছে একত্রিত হওয়ে তাকে বলবে, ‘ওহে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না (আমাদেরকে) সৎ কাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধাদান করতে?’ সে বলবে, ‘অবশ্যই। আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম, কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম, অথচ আমি নিজেই তা করতাম!” (বুখারি ও মুসলিম )
কিন্তু আপনি যদি কোন বাধার কারণে কোন ভাল কাজ করতে এবং খারাপ কাজ ছাড়তে না পারেন, তাহলে তাঁর আদেশ করতে কোন দোষ নেই। আপনার উপর দুটি কাজ ওয়াজিব। একঃ মন্দ কাজ বর্জন করা। দুইঃ কাউকে মন্দ কাজ করতে দেখলে তাতে বাধা দেওয়া। এখন যদি প্রথম ওয়াজিবটি কোন বাধার কারণে পালন করতে না পারেন এবং দ্বিতীয় ওয়াজিবটি পালন করতে কোন বাধা না থাকে, তাহলে তা পালন করা জরুরী।
জাহান্নামে নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া এবং তাঁর চারপাশে ঘুরতে থাকার আজাব ঐ ব্যক্তির হবে, যার ভাল কাজ করতে ও খারাপ কাজ ছাড়তে কোন বাধা নেই। কেবল সে খেয়াল খুশীর বশীভূত হয়ে নিজেকে ভুলে অপরকে আদেশ করে।
কিন্তু এমনও হতে পারে যে, যে ব্যক্তি নিজে ভাল কাজ করে না এবং অপরকে তা করতে আদেশও দেয় না আর মন্দ কাজ বর্জন করে না এবং তা বর্জন করতেও অপরকে আদেশ দেয় না, তাঁর আজাব হয়তো আরও কঠিন। (ইবনে উসাইমিন)