লগইন করুন
যে রোযাদার স্বামী-স্ত্রী মিলনে ধৈর্য রাখতে পারে; অর্থাৎ সঙ্গম বা বীর্যপাত ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা না করে, তাঁদের জন্য আপোসে চুম্বন ও প্রেমকেলি বা কোলাকুলি করা বৈধ এবং তা তাঁদের জন্য মাকরূহ নয়। কারণ, মহানবী (সঃ) রোযা রাখা অবস্থায় স্ত্রী-চুম্বন করতেন এবং রোযা রোযা অবস্থায় প্রেমকেলিও করতেন। আর তিনি ছিলেন যৌন ব্যাপারে বড় সংযমী। ২৮৯ (বুখারী ১৯২৭, মুসলিম ১১০৬, আবূ দাঊদ ২৩৮২, তিরমিযী ৭২৯, ইবনে আবী শাইবাহ ৯৩৯২ নং)অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, আল্লাহ্র রাসূল (সঃ) স্ত্রী-চুম্বন করতেন রমযানে রোযা রাখা অবস্থায়। ২৯০ (মুসলিম ১১০৬ নং)রোযার মাসে। (আবূ দাঊদ ২৩৮৩, ইবনে আবী শাইবাহ ৯৩৯০ নং)
আর এক বর্ণনায় আছে, মা আয়েশা (রঃ) বলেন, “আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) আমাকে চুম্বন দিতেন। আর সে সময় আমরা উভয়ে রোযা অবস্থায় থাকতাম।” ২৯১ (আবূ দাঊদ ২৩৮৪, ইবনে আবী শাইবাহ ৯৩৯৭ নং )
উম্মে সালামাহ (রঃ) বলেন, তিনি তাঁর সাথেও অনুরূপ করতেন। ২৯২ (মুসলিম ১১০৮নং) আর তদ্রূপ বলেন হাফসা (রায্বিয়াল্লাহু আনহা)ও। (ঐ ১১০৭ নং)
উমার (রঃ) বলেন, একদা স্ত্রীকে খুশী করতে গিয়ে রোযা অবস্থায় আমি তাকে চুম্বন দিয়ে ফেললাম। অতঃপর নবী (সঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, “আজ আমি একটি বিরাট ভুল করে ফেলেছি; রোযা অবস্থায় স্ত্রী-চুম্বন করে ফেলেছি।” আল্লাহ্র রাসূল (সঃ) বললেন, “যদি রোযা রেখে পানি দ্বারা কুল্লি করতে, তাহলে তাতে তোমার অভিমত কি?” আমি বললাম, “তাতে কোন ক্ষতি নেই।” মহানবী (সঃ) বললেন, “তাহলে ভুল কিসের?” ২৯৩ (আহমাদ ১/২১, ৫২, সহীহ আবূ দাঊদ ২০৮৯, দারেমী ১৬৭৫, ইবনে আবী শাইবাহ ৯৪০৬ নং)
পক্ষান্তরে রোযাদার যদি আশঙ্কা করে যে, প্রেমকেলি বা চুম্বনের ফলে তাঁর বীর্যপাত ঘটে যেতে পারে অথবা (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ের উত্তেজনার ফলে সহসায় মিলন ঘটে যেতে পারে, কারণ সে সময় সে হয়ত তাঁদের উদগ্র কাম-লালসাকে সংযত করতে পারবে না, তাহলে সে কাজ তাঁদের জন্য হারাম। আর তা হারাম এই জন্য যে, যাতে পাপের ছিদ্রপথ বন্ধ থাকে এবং তাঁদের রোযা নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পায়।