দ্বীনী প্রশ্নোত্তর কথোপকথনের বৈধাবৈধ আবদুল হামীদ ফাইযী
আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আজ্ঞাবহ ধার্মিকদের প্রতি বিদ্রূপ হানার হুকুম কি?

আল্লাহ ও তদীয় রাসুলের আজ্ঞাবহ ধর্মভীরু মুসলিমকে ধর্মের যথার্থ অনুগত হওয়ার কারণে বিদ্রূপ করা হারাম এবং তা মানুষের জন্য বড় বিপদজনক আচরণ। কারণ এ কথার আশংকা থাকে যে, ধর্মভীরুদেরকে তাঁর ঐ অবজ্ঞা তাঁদের আল্লাহর দ্বীনের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাকাকে অবজ্ঞা করার ফল হতে পারে। তখন তাদেরকে ঠাট্টা ব্যঙ্গ করার অর্থই হবে, তাঁদের সেই পথ ও তরিকাকে ঠাট্টা ব্যঙ্গ করা, যার উপর তারা প্রতিষ্ঠিত। যাতে তারা ঐ লোকেদের অনুরূপ হবে, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

“এবং তুমি ওদেরকে প্রশ্ন করলে ওরা নিশ্চয় বলবে, আমরা তো আলাপ আলোচনা ও ক্রীড়া কৌতুক করেছিলাম। বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর নিদর্শন ও রাসুলকে নিয়ে বিদ্রূপ করেছিলেন?’ দোষ স্খালনের চেষ্টা করো না, তোমরা তোমাদের ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গেছে।” (সূরা তাওবাহ ৬৫-৬৬ আয়াত)

উক্ত আয়াতটি মুনাফিকদের একটি গোষ্ঠীকে লক্ষ করে অবতীর্ণ হয়। যারা রাসুল (সঃ) এবং তাঁর সাহাবাবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের ঐ কারিদলের মত আর কাউকে অধিক পেটুক , মিথ্যুক এবং রণভীরু দেখিনি।’ তখন আল্লাহ তাআলা তাঁদের জওয়াবে এই আয়াত কয়টি অবতীর্ণ করেছিলেন।

সুতরাং তাদেরকে সাবধান হওয়া উচিৎ, যারা হকপন্থীদেরকে নিয়ে- তারা ধর্মভীরু বলে- ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করে থাকে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বলেন,

“দুষ্কৃতিকারীরা মুমিনদের উপহাস করত এবং যখন তাঁদের নিকট দিয়ে যেত, তখন বক্রদৃষ্টিতে ইশারা করত। ওরা যখন ওদের আপনজনের নিকট ফিরে আসত তখন উৎফুল্ল হয়ে ফিরত এবং যখন ওদের দেখত, তখন বলত, ‘নিশ্চয় ওরাই পথভ্রষ্ট ।’ ওদেরকে তো তাঁদের তত্ত্বাবধায়ক করে পাঠানো হয়নি। আজ বিশ্বাসী (মুমিন)গন উপহাস করেছে সত্য প্রত্যাখ্যানকারী (কাফের) দলকে, সুসজ্জিত আসন হতে ওদেরকে অবলোকন করে। কাফেররা তাঁদের অকৃতকার্যের প্রতিফল পেল তো?” (সূরা মুত্বাফফিফিন/ ২৯-৩৬ আয়াত)