লগইন করুন
(১) জায়নামাযের দু‘আ পাঠ করা ও মুখে নিয়ত বলা :
‘জায়নামাযের দু‘আ’ বলে শরী‘আতে কোন দু‘আ নেই। যদিও উক্ত দু‘আ সমাজে খুব প্রচলিত। মাওলানা মুহিউদ্দ্বীন খানও ‘জায়নামাযে দাঁড়িয়ে পড়বার দো’আ’ শিরোনামে ‘ইন্নী ওয়াজ্জাহতু... দু‘আ লিখেছেন। কিন্তু কোন প্রমাণ পেশ করেননি।[1] যেহেতু এর শারঈ কোন ভিত্তি নেই, সেহেতু তা পরিত্যাগ করা অপরিহার্য।
যেকোন ছালাতের জন্য মনে মনে নিয়ত করবে।[2] নিয়ত শব্দের অর্থ মনে মনে সংকল্প করা।[3] মুখে নিয়ত বলা একটি বিদ‘আতী প্রথা। রাসূল (ছাঃ) এবং ছাহাবায়ে কেরাম মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পাঠ করেছেন মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। অথচ বাজারে প্রচলিত ‘নামায শিক্ষা’ বইগুলোতে ফরয এবং সুন্নাত মিলে যত ছালাত রয়েছে সমস্ত ছালাতের জন্য পৃথক পৃথক নিয়ত উল্লেখ করে মুছল্লীদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যেমন মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহঃ) তার ‘পূর্ণাঙ্গ নামায শিক্ষা’ বইয়ে ১০১-১০৭ পৃষ্ঠা পর্যন্ত সকল ছালাতের নিয়ত আরবীতে উল্লেখ করেছেন। অবশ্য উক্ত বইয়ের টীকা লিখতে গিয়ে মাওলানা আজিজুল হক লিখেছেন, ‘আমাদের সমাজে নিয়ত মুখে উচ্চারণের বাধ্যবাধকতা স্বরূপ যে কিছু গৎবাঁধা শব্দের প্রচলন আছে, তা নিষ্প্রয়োজন। নিয়ত পড়ার বিষয় নয়; বরং তা করার বিষয় এবং এর সম্পর্ক অন্তরের সাথে। মুখে গৎবাঁধা কিছু শব্দোচ্চারণের সঙ্গে নিয়তের কোন সম্পর্ক নেই’।[4] অতএব মুখে নিয়ত পাঠের অভ্যাস ছাড়তে হবে।
[2]. বুখারী হা/১; মিশকাত হা/১।
[3]. ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ৮৫।
[4]. পূর্ণাঙ্গ নামায শিক্ষা, পৃঃ ১৪৩।