লগইন করুন
(২১) মসজিদকে কেন্দ্র করে সমাজ বিভক্ত করা :
মুসলিম ঐক্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ঐক্য সুদৃঢ় রাখার জন্যই দিনে পাঁচবার মসজিদে একত্রে জমায়েত হওয়া। ইসলামকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধারণ করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দান করেছেন (আলে ইমরান ১০৩)। ব্যক্তিগতভাবে একাকী দ্বীন পালন করতে বলেননি। দেখা যায় সাধারণ কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে মসজিদ পৃথক করে সমাজকে বিভক্ত করা হয়। অবশ্য এক সময় তাদের বিরোধ দূর হয়, গাঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়, পরষ্পরের বাড়ীতে যাতায়াত হয় কিন্তু দুই মসজিদ কখনো এক মসজিদে পরিণত হয় না। যারা এই বিভক্তির ইন্ধন যুগিয়েছে তারাই সবচেয়ে বড় অপরাধী। তাদের কোন ক্ষমা নেই। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান আল্লাহর ঘরের সাথে এই মুনাফেকী করার কারণে তারা মুক্তি পাবে না। অনেক স্থানে ছোট্ট একটি মসজিদে একাধিক সমাজ রয়েছে। ছোটখাট বিষয়ে মনোমালিন্যের কারণে এমনটি ঘটে। এটা মূলতঃ কায়েমী স্বার্থবাদী একশ্রেণীর স্বেচ্ছাচারী মোড়ল ও অযোগ্য বিদ‘আতী ইমামের কারণে হয়ে থাকে। তারা সমাজে সঠিক বিষয় চালু করতে দেয় না। বর্তমানে বিদ‘আতী মুনাজাত, দুই আযান, টাকা দিয়ে ফিৎরা দেওয়া, শবে বরাত, মসজিদ ও ঈদগাহের অর্থের হিসাব-নিকাশ নিয়ে সমাজে বেশী বিভক্তি দেখা দিচ্ছে। মূর্খ মাতবর আর অযোগ্য ইমামের যিদ ও হিংসার কারণে এ সমস্ত বিদ‘আতী প্রথা সমাজে চালু আছে। আর সে জন্যই মসজিদ ও ঈদগাহে সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর তখনই আঘাত আসে মসজিদের উপর। তাদের মনে রাখা উচিৎ যে, এই মিথ্যা দাপট একদিন শেষ হয়ে যাবে। এরপর অবশ্যই সোজা হতে হবে। অতএব বিদ‘আতপন্থী ইমাম ও মোড়লরা সাবধান!