লগইন করুন
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآَخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ
‘‘তারা অবশ্যই অবগত আছে, যে ব্যক্তি তা ক্রয় করে নিয়েছে, পরকালে তার কোনো অংশ নেই’’। (সূরা বাকারাঃ ১০২) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيبًا مِنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُونَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ
‘‘তুমি কি তাদেরকে দেখোনি যাদেরকে কিতাবের জ্ঞানের কিছু অংশ দেয়া হয়েছে? তারা জিবত এবং তাগুতকে বিশ্বাস করে’’। (সূরা নিসাঃ ৫১)
উমার ইবনুল খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, الجبت জিবত হচ্ছে যাদু, আর الطاغوت তাগুত হচ্ছে শয়তান।
জাবির রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তাগুত হচ্ছে গণক। তাদের উপর শয়তান অবতীর্ণ হতো প্রত্যেক গোত্রের জন্যই একজন করে গণক নির্ধারিত ছিল।
ব্যাখ্যাঃ গণকের কাজও যাদুর অন্তর্ভূক্ত। যাদু ঐ বস্ত্তকে বলা হয়, যার উপকরণ খুবই গোপন ও সুক্ষ্ম। এ জন্যই হাদীছে এসেছে, إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا ‘‘কিছু কিছু বয়ানের মধ্যে অবশ্যই যাদু থাকে’’। এখানে কিছু কিছু বক্তৃতাকে যাদুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। কেননা বক্তৃতার মাধ্যমে প্রভাবিত হওয়ার মতই মানুষ যাদু দ্বারা প্রভাবিত হয়।
আবু মুহাম্মাদ আলমাকদেসী স্বীয় কিতাব আল-কাফীতে বলেনঃ বিশেষ কিছু গিরা এবং ঝাড়-ফুঁককে যাদু বলা হয়।
এমন কিছু যাদু রয়েছে, যা অন্তর ও শরীরে প্রভাব ফেলে এবং যাদুগ্রস্তকে রোগাক্রান্ত করে দেয় এবং হত্যা করে ফেলে। এমন কিছু যাদু রয়েছে, যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটায়। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ
‘‘অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন কিছু শিখত, যা দ্বারা তারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত। (সূরা বাকারাঃ ১০২) আল্লাহ তাআলা সূরা ফালাকের ৪ নং আয়াতে বলেনঃ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ‘‘আমি আশ্রয় চাচ্ছি গিরায় ফুঁ দানকারীনীদের অনিষ্ট থেকে’’।
আয়াতে نفاثات বলতে ঐ সমস্ত মহিলাদেরকে বুঝানো হয়েছে, যারা তাদের যাদুমন্ত্রে গিরা লাগায় এবং গিরাতে ফুঁ দেয়। আসলে যদি যাদুর কোনো প্রভাব নাই থাকত, তাহলে তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার হুকুম করা হতনা।
যাদুকর কাফের কি না এ ব্যাপারে আলেমগণ মতভেদ করেছেন। একদল আলেমের মত হচ্ছে, যাদুকর কাফের। ইমাম মালেক, ইমাম আবু হানীফা এবং ইমাম আহমাদ (রঃ) এ মতই পোষণ করেছেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রঃ)এর অনুসারীদের মতে কোনো ঔষধ, ধোঁয়া এবং ক্ষতিকর কোন জিনিষ পান করিয়ে যাদু করা হলে যাদুকর কাফের হবেনা। এ ছাড়া অন্য কিছুর মাধ্যমে করা হলে কাফের হবে। তা কুফরী হওয়ার অন্যতম দলীল হচ্ছে আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ
‘‘তারা উভয়ই এ কথা না বলে কাউকে যাদু শিক্ষা দিতনা যে, আমরা কেবল পরীক্ষার জন্য এসেছি; কাজেই তুমি কুফরীতে লিপ্ত হয়োনা। (সূরা বাকারাঃ ১০২)
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ يُؤْمِنُونَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ অর্থাৎ তারা জিবত এবং তাগুতকে বিশ্বাস করে, এর ব্যাখ্যায় উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ জিবত হচ্ছে যাদু। আর তাগুত হচ্ছে শয়তান। তাগুতের সংজ্ঞায় ইমাম ইবনুল কাইয়্যিমের বক্তব্য পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে। একাধিক বস্ত্তর ক্ষেত্রে তাগুত শব্দটি প্রয়োগ হয়ে থাকে। আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য যেসব বস্ত্তর এবাদত করা হয়, সেগুলো তাগুতের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং এই বাতিল মাবুদগুলোও তাগুত। কুরআনের আয়াতগুলোতে এর যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। গণকদেরকেও তাগুত বলা হয়। যারা আল্লাহ তাআলার শরীয়ত বাদ দিয়ে অন্য বিধান দিয়ে বিচার-ফয়সালা করে, ইসলামী শরীয়াতের বিপরীত হুকুম করে অথবা যারা আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে অন্য বিধানের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে এবং এ জাতীয় অন্যান্য বস্ত্তও তাগুতের মধ্যে শামিল।
জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ তাগুত দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে গণক। অর্থাৎ গণকরাও এক প্রকার তাগুত। গণকদের উপর শয়তান অবতীর্ণ হত। এখানে শয়তান বলতে শয়তানের জাতি উদ্দেশ্য; খাস করে ইবলীস শয়তান উদ্দেশ্য নয়। বরং গণকদের কাছে শয়তানেরা অবতীর্ণ হত এবং তাদের সাথে কথা বলত। শয়তানেরা চুরি করে আকাশ থেকে যে কথা শুনত, তা সম্পর্কে গণকদেরকে খবর দিত। সুতরাং গণকরা একবার সত্য বলত আর শতবার মিথ্যা বলত।
আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
«قَالَ اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا هُنَّ قَالَ الشِّرْكُ بِاللَّهِ وَالسِّحْرُ وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَأَكْلُ الرِّبَا وَأَكْلُ مَالِ الْيَتِيمِ وَالتَّوَلِّي يَوْمَ الزَّحْفِ وَقَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ الْغَافِلَاتِ»
‘‘তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক জিনিষ থেকে দূরে থাক। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, সেগুলো কী কী? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ (১) আল্লাহর সাথে শির্ক করা (২) যাদু করা (৩) অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, যা আল্লাহ তাআলা হারাম করেছেন (৪) সুদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষণ করা (৬) যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করা এবং (৭) সতী-সাধ্বী মুমিন মহিলার প্রতি অন্যায়ভাবে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া’’।[1]
ব্যাখ্যাঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ اجتنبوا السبع الموبقات তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক বস্ত্ত থেকে দূরে থাক। এ কথা বলেন নি যে, أتركوا ودعوا অর্থাৎ তোমরা এই কাজগুলো ছেড়ে দাও। কেননা কাঙ্খিত অর্থ প্রদানে اجتنبوا শব্দটি اتركوا শব্দের চেয়ে অধিক সুস্পষ্টকারী। আর কোনো কাজের নিকটবর্তী হতে নিষেধ করলে সাধারণভাবে তা বর্জনের আদেশের চেয়ে নিষেধাজ্ঞাটি অধিক শক্তিশালী হয়। যেমন আল্লাহ তাআলা সূরা আনআমের ১৫১ নং আয়াতে বলেনঃ
وَلَا تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ
‘‘তোমরা নির্লজ্জতার কাছেও যেয়োনা, প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য’’। উক্ত বিষয়গুলোকে ধ্বংসাত্মক বলার কারণ হল, এগুলোতে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে উহা দুনিয়াতে ধ্বংস করে দেয়। কেননা এ বিষয়গুলোতে লিপ্ত হওয়ার কারণে দুনিয়াতে শাস্তি দেয়া হয় এবং আখেরাতেও শাস্তি আবশ্যক হবে।
ইমাম বুখারী আদাবুল মুফরাদে মারফু এবং মাওকুফ উভয় সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, কবীরা গুনাহ হচ্ছে নয়টি। উপরোক্ত সাতটি বর্ণনা করার পর বলেনঃ হারামের সীমানার মধ্যে পাপাচারে লিপ্ত হওয়া এবং পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া।
الشرك بالله আল্লাহর সাথে শির্ক করাঃ অর্থাৎ আল্লাহর শরীক নির্ধারণ করে আল্লাহকে আহবান করার মত শরীককেও আহবান করা এবং আল্লাহর কাছে কল্যাণের আশা করার মত তার কাছেও কল্যাণ কামনা করা। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রঃ) কাসীদায়ে নুনীয়ায় বলেনঃ
والشرك فاحذره فشرك ظاهر
ذا القسم ليس بقابل الغفران
وهو اتخاذ الند للرحمن أيّا
كان من حجر ومن إنسان
يدعوه أو يرجوه ثم يخافه
ويحبّه كمحبة الديّان
‘‘হে বন্ধু! তুমি শির্ক থেকে বেঁচে থাকো। শির্ক এমন গুনাহ, যা ক্ষমার অযোগ্য। আর শির্ক হচ্ছে কোনো পাথর বা মানুষকে রাহমানের সমান বানিয়ে তাকে আহবান করা এবং তার কাছে আশা করা। তাকে ভয় করা এবং তাকে এমনভাবে ভালবাসা, যেমন ভালবাসার হকদার একমাত্র আল্লাহ তাআলা’’।
আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীছে সাতটি ধ্বংসাত্মক বিষয় বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথমেই শির্কের কথা উল্লেখ করেছেন। কারণ যেসব গুনাহএর মাধ্যমে আল্লাহর নাফরমানী করা হয় তন্মধ্যে এটিই সর্বাধিক বড় কবীরা গুনাহ। যেমন আল্লাহ তাআলা লুকমান হাকীমের উপদেশ নকল করতে গিয়ে বলেছেনঃ
يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ
‘‘হে বৎস! আল্লাহ্র সাথে শরীক করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ্র সাথে শরীক করা মহা যুলুম’’। (সূরা লুকমানঃ ১৩)
وقتل النفس التي حرّم الله إلا بالحق অন্যায়ভাবে কোন নফ্সকে হত্যা করা, যা আল্লাহ তাআলা হারাম করেছেনঃ এখানে নফস্ বলতে নিষ্পাপ ও নির্দোষ মুসলিমের নফস্ উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে ঐ অমুসলিমকে হত্যা করাও কবীরা গুনাহ, যার সাথে বা যার গোত্রের সাথে মুসলিমদের নিরাপত্তা ও শান্তি চুক্তি রয়েছে। যেমন হাদীছে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
«مَنْ قَتَلَ نَفْسًا مُعَاهَدًا لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ وَإِنَّ رِيحَهَا يُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ عَامً»
‘‘যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ কোন অমুসলিমকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবেনা। অথচ ৪০ বছরের দূরত্ব থেকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়’’।
আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস ও আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহুর মতে যে ব্যক্তি কোন মুমিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করবে, আল্লাহ তাআলা তাঁর তাওবা কবুল করবেন না। কিন্তু পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অধিকাংশ আলেমের মত হল হত্যাকারীর জন্য আল্লাহর নিকট তাওবা রয়েছে। সে যদি তাওবা করে, আল্লাহর দিকে ফিরে আসে এবং সৎ আমল সম্পাদন করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার পাপগুলোকে নেকীতে পরিণত করে দিবেন। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آَخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا (68) يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا (69) إِلَّا مَنْ تَابَ وَآَمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا
‘‘এবং যারা আল্লাহ্র সাথে অন্য মাবুদের এবাদত করেনা, আল্লাহ্ যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করেনা এবং ব্যভিচার করেনা। এসব কাজ যে করবে, সে গুনাহএর শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুণ হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। কিন্তু যারা তাওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ্ তাদের গুনাহকে নেকী দ্বারা পরিবর্তন করে দিবেন। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’’। (সূরা ফুরকানঃ ৬৮-৭০)
وأكل الربا সুদ খাওয়াঃ অর্থাৎ যে কোনভাবে তা গ্রহণ করল। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَى فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (275) يَمْحَقُ اللَّهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ
‘‘যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামত দিবসে তাদের অবস্থা হবে ঠিক সেই লোকটির মত যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এ অবস্থায় উপনীত হওয়ার কারণ হলো, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবসা-বাণিজ্য তো সুদের মতই। অথচ আল্লাহ্ ক্রয়-বিক্রয়কে বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে এ উপদেশ পৌঁছে গেলে সুদ খাওয়া থেকে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে কথা হচ্ছে যা কিছু সে খেয়ে ফেলেছে তা তো খেয়েই ফেলেছে এবং তার ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে। আর এ নির্দেশের পরও যারা পুনরায় সুদ খাবে তারা জাহান্নামের অধিবাসী হবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং দানকে বৃদ্ধি করেন। আল্লাহ কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না’’। (সূরা বাকারাঃ ২৭৫-২৭৬)
ইবনু দাকীক আল ঈদ (রঃ) বলেনঃ এটি একটি পরীক্ষিত বিষয় যে, সুদখোরের শেষ পরিণতি ভাল হয়না। আমরা আল্লাহর কাছে শেষ পরিণতি মন্দ হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। আল্লাহ তাআলা সূরা আল-ইমরানের ১৩০ ও ১৩২ নং আয়াতে বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (130) وَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়োনা। আর আল্লাহ্কে ভয় কর। আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। আর তোমরা সেই আগুন থেকে বেঁচে থাক, যা কাফেরদের জন্য প্রস্ত্তত করা হয়েছে’’। হাদীছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
«الرِّبَا نِيفٌ وسَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ»
‘‘সুদের মধ্যে রয়েছে ৭০টিরও অধিক গুনাহ। তার মধ্যে সর্বাধিক হালকা গুনাহটি নিজ মায়ের সাথে যেনা করার মতই’’।[2]
وأكل مال اليتيم ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষণ করাঃ অর্থাৎ ইয়াতীমের মালের ক্ষেত্রে শরীয়তের নির্ধারিত সীমা লংঘন করা কবীরাহ গুনাহ। এখানে ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করাকে খাওয়া শব্দ দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কেননা সাধারণত খাওয়ার উদ্দেশ্যেই তা আত্মসাৎ করা হয়ে থাকে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا
‘‘যারা এতিমদের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করেছে এবং অচিরেই তারা অগ্নিতে প্রবেশ করবে’’। (সূরা নিসাঃ ১০)
والتولي يوم الزحف যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করাঃ অর্থাৎ কাফেরদের সাথে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করা। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
وَمَنْ يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَى فِئَةٍ فَقَدْ بَاءَ بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ وَمَأْوَاهُ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
‘‘আর যে লোক সেদিন পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, সে আল্লাহর গযবে ঘেরাও হবে। তার ঠিকানা হল জাহান্নাম। সেটি হলো অত্যন্ত নিকৃষ্ট অবস্থান। অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তন কল্পে কিংবা নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে এমনটি করবে, তার কথা ভিন্ন’’। (সূরা আনফালঃ ১৬)
وَقَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ الْغَافِلَاتِ সতী-সাধ্বী মুমিন মহিলার প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ দেয়াঃ المحصنات শব্দের ص বর্ণে যবর দিয়ে পড়তে হবে। তখন অর্থ হবে ঐসব মহিলা, যাদেরকে ব্যভিচার ও অশ্লীল কর্ম থেকে পবিত্র রাখা হয়েছে। আর সোয়াদ বর্ণে যের দিয়ে পড়া হলে অর্থ হবে ঐ মহিলাগণ, যারা নিজেদের লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে থাকে। মূলতঃ এখানে মুহসানাত বলতে স্বাধীন এবং সৎচরিত্রবান মহিলাগণ উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা সূরা নূরের ২৩ নং আয়াতে বলেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
‘‘যারা সতী-সাধ্বী, সরলমনা মুমিন মহিলাদের প্রতি অপবাদ দেয়, তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি’’।
জুনদুব রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ حَدُّ السَّاحِرِ ضَرْبَةٌ بِالسَّيْفِ ‘‘যাদুকরের শাস্তি হচ্ছে তলোয়ারের আঘাতে গর্দান উড়িয়ে দেয়া’’।[3] হাদীছটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ হাদীছটি মাওকুফ হওয়াই সঠিক।
ব্যাখ্যাঃ ইমাম তাবরানী জুন্দুব বিন আব্দুল্লাহ আলবাজালী রাযিয়াল্লাহু আনহুর জীবনীতে এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) বলেনঃ সঠিক কথা হচ্ছে উপরোক্ত হাদীছের রাবী জুন্দুব বিন আব্দুল্লাহ আল-বাজালী নয়; বরং অন্য জুন্দুব। ইমাম ইবনুল কানি এবং হাসান বিন সুফিয়ান হাদীছটি হাসান থেকে দু’টি সনদে বর্ণনা করেছেন। আর হাসান বর্ণনা করেছেন জুন্দুব আল-খায়ের থেকে। তিনি বলেন, একবার তিনি এক যাদুকরের নিকট গমণ করলেন এবং তলোয়ার দিয়ে আঘাত করলেন। এতে যাদুকর মারা গেল। এরপর তিনি বললেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ حَدُّ السَّاحِرِ ضَرْبَةٌ بِالسَّيْفِ ‘‘যাদুকরের শাস্তি হচ্ছে তলোয়ারের আঘাতে তার গর্দান উড়িয়ে দেয়া’’।
ضربة শব্দটির শেষে ‘ها’ হা এবং ‘ة’ তা উভয় অক্ষর দিয়ে পড়া যায়। উভয় বর্ণনাই বিশুদ্ধ। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, ইমাম মালেক এবং ইমাম আবু হানীফা (রঃ) এ হাদীছ দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন। তারা সকলেই বলেছেনঃ যাদুকরকে হত্যা করতে হবে। উমার, উছমান, ইবনে উমার, হাফসা, জুন্দুব বিন আব্দুল্লাহ, জুন্দুব বিন কা’ব কাইস বিন সা’দ এবং উমার ইবনে আব্দুল আযীয থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
ইমাম শাফেঈ (রঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, কেবল যাদু করার কারণে কাউকে হত্যা করা যাবেনা। তবে সে যদি যাদুর মধ্যে এমন কিছু কথা বা মন্ত্র ব্যবহার করে, যা কুফরী পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলে তাকে হত্যা করতে হবে।
ইমাম ইবনুল মুনযির বলেনঃ ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রঃ) থেকেও এটি বর্ণিত হয়েছে। তবে প্রথম মতটিই উত্তম। এ মর্মে বর্ণিত হাদীছ এবং উমার বিন খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছার রয়েছে। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফতকালে লোকেরা এর উপরই আমল করত। এতে কারও দ্বিমত ছিলনা।
সহীহ বুখারীতে বাজালা বিন আবাদাহ থেকে বর্ণিত আছে, উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু মুসলিম গভর্ণরদের কাছে পাঠানো নির্দেশনামায় লিখেছেনঃ
«أَنِ اقْتُلُوا كُلَّ سَاحِرٍ وَسَاحِرَةٍ قَالَ: فَقَتَلْنَا ثَلاَثَ سَوَاحِرَ»
‘‘তোমরা প্রত্যেক যাদুকর পুরুষ এবং যাদুকর নারীকে হত্যা করো। বাজালা বলেন, এ নির্দেশের পর আমরা তিনজন যাদুকর মহিলাকে হত্যা করেছি’’।[4]
ব্যাখ্যাঃ লেখক এখানে যেভাবে উল্লেখ করেছেন, ইমাম বুখারী এ আছারটি ঠিক সেভাবেই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সেখানে যাদুকর মহিলাদেরকে হত্যা করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
بجالة শব্দের ‘বা’ এবং ‘জীম’ বর্ণে যবর দিয়ে পড়তে হবে। তিনি হলেন বাজালা ইবনে আবাদাহ আত-তামীমী আল-আনবারী। তিনি বসরার অধিবাসী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন নির্ভরযোগ্য রাবী।
উমার ইবনুল খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহু তাঁর গভর্ণরদেরকে চিঠি লিখে আদেশ দিয়েছিলেন যে, তোমরা প্রত্যেক যাদুকর পুরুষ এবং যাদুকর মহিলাকে হত্যা করো।
ব্যাখ্যাঃ এ কথার প্রকাশ্য অর্থ হচ্ছে যাদুকরকে তাওবা করতে বলা হবেনা। এটিই ইমাম আহমাদ বিন হাম্বালের প্রসিদ্ধ মত। ইমাম মালেকও অনুরূপ কথা বলেছেন। কেননা যাদুকর তাওবা করলেও যাদুর জ্ঞান বিদূরিত হয়না। ইমাম আহমাদ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তাকে তাওবা করতে বলা হবে। সে যদি তাওবা করে, তার তাওবা গ্রহণ করা হবে। এটি ইমাম শাফেঈ (রঃ)এর মত। কেননা তার গুনাহ শির্কের চেয়ে অধিক বড় নয়। মুশরিককে তাওবা করানো হয় এবং তার তাওবা কবুলও হয়। এ জন্যই ফেরাউনের যাদুকরদের ঈমান আনয়ন ও তাওবা বিশুদ্ধ হয়েছিল।
হাফসা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীছে এসেছে, তাঁর দাসী তাঁকে যাদু করেছিল। তিনি তাকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অতঃপর উক্ত নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইমাম মালেক (রঃ) স্বীয় মুআত্তায় হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। একই রকম হাদীছ জুন্দুব থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আহমাদ (রঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তিনজন সাহাবী থেকে এ কথা বর্ণনা করেছেন।
ব্যাখ্যাঃ ইমাম মালেক (রঃ) মুআত্তায় এই আছারটি বর্ণনা করেছেন। হাফসা হলেন উমার ইবনুল খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহুর কন্যা এবং উম্মুল মুমিনীনদের অন্তর্ভূক্ত। হাফসা রাযিয়াল্লাহু আনহার প্রথম স্বামী খুনাইস বিন হুযাফা ইন্তেকাল করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বিবাহ করেন। ৪৫ হিজরী সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
একই রকম হাদীছ জুন্দুব থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছেঃ জুন্দুব রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে যাদুকরকে হত্যা করার যে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, লেখক এখানে সে দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ইমাম বুখারী স্বীয় কিতাব ‘তারীখ’এ আবু উছমান আন-নাহদী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদা অলীদ বিন উকবার কাছে এক লোক খেলা করছিল। লোকটি একজন মানুষকে যবেহ করে শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলল। আবু উছমান বলেনঃ আমরা এতে আশ্চর্যবোধ করলাম। সে কর্তিত মাথাকে আবার দেহের সাথে লাগিয়ে দিল। অতঃপর জুন্দুব আল-আজদী এসে সেই লোকটিকে হত্যা করে ফেললেন।
ইমাম বায়হাকী (রঃ) স্বীয় কিতাব ‘দালায়েলুন নুবুওয়াতে’-এ হাদীছটি বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। তাতে বর্ণিত হয়েছে যে, অলীদ বিন উকবা রাযিয়াল্লাহু আনহুর আদেশে জুন্দুব আল-আজদীকে জেলখানায় বন্দী করা হল। অতঃপর ইমাম বায়হাকী ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেছেন। এই ঘটনার আরও অনেক সনদ রয়েছে।
ইমাম আহমাদ (রঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তিনজন সাহাবী থেকে এ কথা বর্ণনা করেছেনঃ অর্থাৎ যাদুকরকে হত্যা করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তিনজন সাহাবী থেকে সহীহ সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে। এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ
১) সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াতের তাফসীর।
২) সূরা নিসার ৫১ নং আয়াতের তাফসীর।
৩) ‘জিবত’ এবং ‘তাগুত’এর ব্যাখ্যা এবং উভয়ের মধ্যে পার্থক্য।
৪) ‘তাগুত’ কখনো জিন আবার কখনো মানুষ হতে পারে।
৫) ধ্বংসাত্মক সাতটি বিষয় সম্পর্কে জানা গেল, যা থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষভাবে নিষেধ করেছেন।
৬) যাদুকর কাফের।
৭) তাওবার সুযোগ দেয়া ছাড়াই যাদুকরকে হত্যা করতে হবে।
৮) উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুর যুগে যদি যাদুর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর পরবর্তী যুগের অবস্থা কী দাঁড়াবে? কোনো সন্দেহ নেই যে তাঁর পরবর্তী যুগে যাদু বিদ্যার ব্যাপক প্রসার ঘটবে।
[2] - ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ সুদের ভয়াবহতা। ইমাম আলবানী (রঃ) এই হাদীছকে সহীহ বলেছেন, দেখুনঃ সহীহুত তারগীব ওয়াত্ তারহীব, হাদীছ নং- ১৮৫১।
[3] - তিরমিজী, অধ্যায়ঃ যাদুকরের শাস্তি। ইমাম আলবানী (রঃ) এই হাদীছকে সহীহ বলেছেনঃ দেখুনঃ সিলসিলায়ে যঈফা, হাদীছ নং- ১৪৪৬।
[4] - সুনানে বায়হাকী, অধ্যায়ঃ যাদুকরকে কাফের বলা এবং তাকে হত্যা করা।