লগইন করুন
সবাই এ কথা এক বাক্যে স্বীকার করেন যে, কোন জাতির আক্বীদা-বিশ্বাস, মন ও মনন, শিক্ষা ও সংস্কৃতির পুনর্গঠনে একমাত্র জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসই মৌলিক ভূমিকা রেখে থাকে। কিন্তু আপসোসের বিষয় হলো এই যে, আমাদের শিক্ষা সিলেবাস সম্পূর্ণরূপে তাওহীদ বিরোধী। তাতে মাযার পূজা ও পীর পূজার প্রতি সরাসরি উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। পীর-ফকিরদের ব্যাপারে অনেক ধরনের বানানো কারামত শুনিয়ে মানুষকে তাদের অন্ধ ভক্ত বানানো হচ্ছে। তাতে করে সাধারণ শিক্ষিতদের মধ্যে যে মানসিকতা জন্ম নিচ্ছে তা নিম্নরূপঃ
ক. বুযুর্গদের কবরের উপর ঘর বানানো বা মাযার তৈরী করা এবং সে কবরকে উদ্দেশ্য করে উরস করা বা মেলা বসানো প্রচুর সাওয়াবের কাজ।
খ. উরস বা মেলা উপলক্ষে গান-বাদ্যের বিশেষ আয়োজন করা হলে বুযুর্গদের যথাযথ সম্মান রক্ষা ও বৃদ্ধি পায়।
গ. বুযুর্গদের মাযারের উপর ফুল ছড়িয়ে দেয়া, মাযারকে আলোকিত করা, উরস উপলক্ষে খানা বা তাবার্রুকের আয়োজন করা এবং মাযারে বসে ইবাদাত করা প্রচুর সাওয়াবের কাজ।
ঘ. বুযুর্গদের মাযারের পার্শ্বে গিয়ে দো’আ করা দো’আ কবুল হওয়ার একমাত্র বিশেষ উপায়।
ঙ. ওলীদের মাযারে গেলে মনের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়, গুনাহ্ মাফ হয় বা পরকালে নাজাত পাওয়া যায়।
চ. বুযুর্গদের মাযারে গিয়ে ফয়েয-বরকত হাসিল করা বিশেষ সাওয়াবের কাজ।
এ কারণেই এ জাতীয় সিলেবাস পড়ুয়াদের মুখ থেকে সে যত বড় শিক্ষিতই হোক না কেন আপনি কখনো তাওহীদের কথা শুনতে পাবেন না। কারণ, তারা তাওহীদের শিক্ষা গ্রহণ করেনি। বরং তারা এর বিপরীতে শির্ক ও বিদ্’আতের প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
এ কারণেই কবি ইকবাল ঠিকই বলেছেন যার মর্মার্থ নিম্নরূপ:
মাদ্রাসাওয়ালারা তাওহীদকে গলা টিপে হত্যা করেছে। অতএব আমরা আর কোথা থেকে খাঁটি তাওহীদের ডাক শুনতে পাবো?