লগইন করুন
উত্তর: সফর অবস্থায় যদি এমন কষ্ট হয় যা সহ্য করা সম্ভব, তবে সে সময় সাওম রাখা মাকরূহ। কেননা একদা সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন জনৈক ব্যক্তির পাশে লোকজন ভীড় করছে এবং তাকে ছাঁয়া করছে। তিনি বললেন, এর কি হয়েছে? তারা বলল, লোকটি সাওম পালনকারী। তখন তিনি বললেন, لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ الصَّوْمُ فِي السَّفَرِ “সফর অবস্থায় সিয়াম পালন করা কোনো পূণ্যের কাজ নয়।”[1]
কিন্তু সফরে সাওম রাখা যদি অধিক কষ্টদায়ক হয় তবে ওয়াজিব হচ্ছে সাওম ভঙ্গ করা। কেননা সফর অবস্থায় লোকেরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট অভিযোগ করল যে তাদের কষ্ট হচ্ছে তখন তিনি সাওম ভঙ্গ করলেন। অতঃপর বলা হলো, কিছু লোক এখনও সাওম রেখেছে। তিনি বললেন, أُولَئِكَ الْعُصَاةُ أُولَئِكَ الْعُصَاةُ “ওরা নাফরমান, ওরা নাফরমান।”[2]
কিন্তু সাওম রাখতে যার কোনো কষ্ট হবে না, তার জন্য উত্তম হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করে সাওম পালন করা। কেননা সফর অবস্থায় তিনি সাওম রাখতেন। আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ وَمَا فِينَا صَائِمٌ إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنُ رَوَاحَةَ»
“একদা রামাযান মাসে কঠিন গরমের সময় আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সফরে ছিলাম। তখন আমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা ছাড়া আর কেউ সাওম রাখেন নি।”[3]
[2] সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: পাপের সফর না হলে রামাযান মুসাফিরের সাওম রাখা ও ভঙ্গ করা উভয়টিই বৈধ।
[3] সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: নং ৩৫; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: সফরে সিয়াম রাখা ও ভঙ্গ করা ইচ্ছাধীন।