ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
আর-রাহীকুল মাখতূম গাযওয়ায়ে বদরে কুবরা- ইসলামের প্রথম ফায়সালাকারী যুদ্ধ (غَزْوَةُ بَدْرِ الْكُبْرٰى َاوَّلُ مَعْرِكَةٍ مِنْ مُعَارِكِ الْإِسْلَامِ الْفَاصِلَةِ) আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী (রহঃ)
১. কুদর* নামক স্থানে গাযওয়ায়ে বনী সুলাইমের যুদ্ধ (غَزْوَةُ بَنِيْ سُلَيْمٍ بِالْكُدْرِ):

বদর যুদ্ধের পর সর্ব প্রথম মুসলিম গোয়েন্দা বাহিনী সরবরাহ করেন তা ছিল গাত্বাফান গোত্রের শাখা বনু সুলাইমের লোকেরা মদীনার উপর চড়াও হওয়ার জন্যে সৈন্য সমাবেশ করছে। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে নাবী কারীম (ﷺ) দু’শ জন উষ্ট্রারোহীকে সঙ্গে নিয়ে আকস্মিকভাবে তাদের নিজেদের এলাকায় ধাওয়া করেন এবং কুদর নামক স্থানে তাদর মনযিল পর্যন্ত পৌঁছেন। বনু সুলাইম গোত্র এ আকস্মিক আক্রমণে একেবারে হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে এবং উপায়ন্তর না দেখে উপত্যকার মধ্যে পাঁচশটি উট ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এগুলোর উপর মদীনার মুসলিম সেনাবাহিনী দখলদার হয়ে যান। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এগুলোর এক পঞ্চমাংশ বের করে নিয়ে অবশিষ্ট মাল গণীমত হিসেবে মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করে দেন। প্রত্যেকের অংশে দুটি করে উট পড়ে। এ গাযওয়ায় ইয়াসার নামক একটি গোলাম হাতে আসে যাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আযাদ করে দেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু সুলাইমের বাসভূমিতে তিন দিন অবস্থান করার পর মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন।

এ গাযওয়া হিজরী ২য় সনের শাওয়াল মাসে বদর হতে প্রত্যাবর্তনের মাত্র সাত দিন পরে সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধকালীন সময়ে সিবা’ ইবনু ‘উরফুত্বাহ (রাঃ)-কে এবং মতান্তরে ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)-কে মদীনার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল।[1]

* কুদর প্রকৃত পক্ষে মেটোখাকীরং এর এক প্রকার পাখী। কিন্তু এখানে বানু সুলাইমের একটি প্রস্রবণ উদ্দেশ্য, এটা নজদের মধ্যে অবস্থিত। মক্কা হতে (নজদের পথে) সিরিয়াগামী রাজপথের উপর অবস্থিত।

[1] যা’দুল মা’আদ ২য় খন্ড ৯০ পৃঃ, ইবনে হিশাম ২য় খন্ড ৪৩-৪৪ পৃঃ, মুখতাসার সীরাহ শায়খ আব্দুল্লাহ প্রণীত ২৩৬।