মুসলিম শক্তিকে সমূলে উৎখাত করার জন্য তারা সাধারণ বিজ্ঞপ্তি জারী করে দিল যে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যেতে ইচ্ছুক বেদুঈন, কেনানা ও তেহামার অধিবাসীদের মধ্যকার যেকোন ব্যক্তি যেন এই যুদ্ধে কুরায়েশ বাহিনীতে শরীক হয়। লোকদের উত্তেজিত ও উৎসাহিত করার জন্য দু’জন কবি আবু ‘আযযাহ(أَبُو عَزَّةَ) এবং মুসাফে‘ বিন ‘আব্দে মানাফ আল-জুমাহী(مُسَافِعُ بْنُ عَبْدِ مَنَافِ الْجُمَحِيُّ) কে কাজে লাগানো হয়। প্রথমজন বদর যুদ্ধে বন্দী হয়েছিল। পরে রাসূল (ছাঃ)-এর বিরোধিতা করবে না, এই শর্তে কোনরূপ মুক্তিপণ ছাড়াই সে মুক্তি পায়। তাকে গোত্রনেতা ছাফওয়ান বিন উমাইয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধ থেকে নিরাপদে ফিরে আসলে তাকে ধনশালী করে দিবেন। আর নিহত হ’লে তার কন্যাদের লালন-পালনের দায়িত্ব নেবেন’। ফলে উক্ত দুই কবি অর্থ-সম্পদের লোভে সর্বত্র যুদ্ধের উন্মাদনা সৃষ্টিতে তৎপর হয়ে উঠলো। দেখতে দেখতে বছর ঘুরে আসতেই মক্কায় তিন হাযার সুসজ্জিত সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী প্রস্ত্তত হয়ে গেল। আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হেন্দার নেতৃত্বে ১৫ জন মহিলাকেও সঙ্গে নেওয়া হ’ল, যাতে তাদের দেওয়া উৎসাহে সৈন্যরা অধিক উৎসাহিত হয় এবং তাদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে সৈন্যরা জীবনপণ লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ হয়।
যুদ্ধ সম্ভারের মধ্যে ছিল বাহন হিসাবে ৩০০০ উট, ২০০ যুদ্ধাশ্ব এবং ৭০০ লৌহবর্ম। খালেদ ইবনু অলীদ ও ইকরিমা বিন আবু জাহলকে অশ্বারোহী বাহিনীর অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক করা হয়। আবু সুফিয়ান হ’লেন পুরা বাহিনীর অধিনায়ক এবং যুদ্ধের পতাকা অর্পণ করা হয় প্রথা অনুযায়ী বনু ‘আব্দিদ্দার গোত্রের হাতে।[1]