এর মধ্যে মুসলমানদের জন্য সূক্ষ্ম ইঙ্গিত ছিল যে, এখন থেকে একটি নতুন যুগের সূচনা হ’তে যাচ্ছে, যা ফেলে আসা ক্বিবলা কা‘বাগৃহের উপরে মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। একই সময়ে সূরা বাক্বারাহ ১৯০-১৯৩ আয়াত নাযিল হয়। যাতে বলা হয় وَأَخْرِجُوْهُم مِّنْ حَيْثُ أَخْرَجُوْكُمْ ‘যে স্থান হ’তে তারা তোমাদের বহিষ্কার করেছে, সে স্থান হ’তে তোমরাও তাদের বহিষ্কার কর’। অতঃপর যুদ্ধের নিয়মবিধি নাযিল হয় সূরা মুহাম্মাদ ৪-৭ আয়াতে। অতঃপর যুদ্ধ ভয়ে ভীতু কাপুরুষদের নিন্দা করে একই সূরার ২০ আয়াতটি নাযিল হয়। একই সময়ে পরপর এসব আয়াত নাযিলের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হয়ে উঠেছিল যে, হক ও বাতিলের মধ্যে একটা চূড়ান্ত বুঝাপড়ার সময়কাল অত্যাসন্ন। কেননা আল্লাহ কখনোই চান না যে, তাঁর পবিত্র গৃহ নাপাক মুশরিক ও পৌত্তলিকদের দখলীভুক্ত হয়ে থাকুক। বলা বাহুল্য ক্বিবলা পরিবর্তনের হুকুম নাযিলের পর রাসূল (ছাঃ)-এর মধ্যে এবং সাধারণভাবে সকল মুসলমানের মধ্যে আশা ও আনন্দের ঢেউ জেগে ওঠে এবং তাদের অন্তরে মক্কায় ফিরে যাওয়ার আকাংখা ও উদ্দীপনা তীব্র হয়ে ওঠে, যা উক্ত ঘটনার দেড় মাস পরে বদর যুদ্ধে তাদেরকে বিজয়ী হ’তে সাহায্য করে।