(১) শ্রেষ্ঠ বংশের জগতশ্রেষ্ঠ রাসূল ইয়াতীম অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেন। এর দ্বারা আল্লাহ তাঁকে ইয়াতীম ও অসহায় শ্রেণীর দুঃখ-বেদনা অনুভবের অভিজ্ঞতা অর্জন করান।
(২) তাঁকে উম্মী বা নিরক্ষর নবী করা হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে যে, তিনি নিজের ইলম দিয়ে কুরআন তৈরী করেছেন। এছাড়া দুনিয়ার কোন মানুষ যেন তাঁর উস্তাদ হওয়ার বড়াই করতে না পারে।
(৩) ভবিষ্যতে তিনি যে নবী হবেন, তার নমুনা দুগ্ধপানকাল থেকেই বিভিন্ন মু‘জেযা ও শুভ লক্ষণের মাধ্যমে ফুটে ওঠে। যাবতীয় কুসংস্কার ও অন্যায়-অনাচারের প্রতি ঘৃণাবোধ, যুলুম প্রতিরোধে ‘হিলফুল ফুযূল’ সংগঠন প্রতিষ্ঠা, কা‘বাগৃহ পুনর্নির্মাণকালে সাক্ষাৎ রক্তারক্তি থেকে সম্প্রদায়কে রক্ষা, সর্বত্র আল-আমীন হিসাবে প্রশংসিত হওয়া, অতঃপর মানুষের মঙ্গল চিন্তায় নিঃসঙ্গপ্রিয়তা ও হেরা গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন হওয়া ও সত্যস্বপ্ন লাভ প্রভৃতি ছিল ভবিষ্যৎ নবুঅত প্রাপ্তির অভ্রান্ত পূর্ব নিদর্শন। এতে প্রমাণিত হয় যে, শ্রেষ্ঠতম আমানত সমর্পণের জন্য শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি আবশ্যক।