এতে কোন সন্দেহ নেই যে, কোন মাহরামের সাথে ব্যাভিচার করা সবচেয়ে বড় ব্যাভিচার। কিন্তু কোন অবৈধ সম্পর্ক বৈধ সম্পর্ককে ছিন্ন করতে পারে না। অবৈধভাবে মিলন ঘটালেই সে তার স্ত্রী হয়ে যায় না এবং তার মা বা মেয়ে স্ত্রীর বন্ধন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্মুক্ত হয়ে যায় না।
মহান আল্লাহ কাকে কাকে বিবাহ হারাম--- সে কথা বলার পর বলেছেন,
“উল্লেখিত নারীগণ ব্যতীত আর সকলকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ করা হল; এই শর্তে যে, তোমরা তাঁদেরকে নিজ সম্পদের বিনিময়ে বিবাহের মাধ্যমে গ্রহণ করবে, অবৈধ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে নয়।” (নিসাঃ ২৪)
যেখানে বৈধ মিলনের ফলে অনেক মহিলা হারাম হওয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু অবৈধ মিলন ব্যভিচার এর ফলে কেউ হারাম হবে কি না, সে কথা বলেননি। সুতরাং বুঝা যায় যে, উক্ত মহিলাগন ছাড়া অন্য কেউ হারাম নয়। হাদিসে কিছু মহিলার হারাম হওয়ার কথা বলা হলেও ব্যাভিচারের ফলে হারাম হওয়ার কথা বলা হয়নি। অথচ জাহেলি যুগে ব্যভিচারের প্রকোপ খুব বেশী ছিল। সুতরাং বুঝা যায় যে, কোন অপবিত্র সম্পর্ক কোন পবিত্র সম্পর্কের বন্ধনকে ধ্বংস করতে পারে না। ৫৮৬ (দ্রঃ ৭/৯০, আযওয়াউল বায়ান ৬/৩৪১, মুমতে ৫/২০৩)