জাল হাদীসের প্রচলনের ক্ষেত্রে শেষের কারণদ্বয় সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। হেদায়াতের আগ্রহে অনেক যোগ্য আলিম ওয়ায, ফাযায়িল, আত্মশুদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ক পুস্তকে সহীহ হাদীসের পাশাপাশি অনেক ‘যয়ীফ’ হাদীস উল্লেখ করেছেন। এ সকল ‘যয়ীফ’ হাদীসের মধ্যে অনেক জাল হাদীস তাঁদের পুস্তকে স্থান পেয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা এগুলোর জালিয়াতি বা দুর্বলতার কথা উল্লেখ করেন নি। ফলে সাধারণ পাঠক এগুলোকে ‘সহীহ’ হাদীস বলেই গণ্য করেছেন।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, কুরআনের এত আয়াত, এত সহীহ হাদীস সব কিছু উল্লেখ করার পরেও বোধ হয় মানুষের মনে ‘হেদায়াতের’ কথাটি ঢুকানো গেল না। কিছু যয়ীফ বা অনির্ভরযোগ্য কথা না বললে বোধহয় মানুষের মনে ‘আসর’ করা যাবে না। কুরআনে ও সহীহ হাদীসে উল্লিখিত শাস্তির কথা এবং কুরআনে ও সহীহ হাদীসে উল্লিখিত পুরস্কার, সাওয়াব ও ফযীলতের কথা বোধ হয় মানুষের মনে সত্যিকার আখেরাতমুখিতা, আল্লাহ ভীতি ও আমলের আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। এজন্যই বোধহয় তাঁরা আয়াতে কুরআনী ও সহীহ হাদীসের পরে এ সকল যয়ীফ বা ভিত্তিহীন কথাগুলো উল্লেখ করেন।