আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে যেসব নে‘আমত দান করেছেন তার মধ্যে মধু অন্যতম। তিনি বলেন,
وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي مِنَ الْجِبَالِ بُيُوْتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُوْنَ- ثُمَّ كُلِيْ مِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِيْ سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا يَخْرُجُ مِنْ بُطُوْنِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيْهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ إِنَّ فِيْ ذَلِكَ لَآيَةً لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُوْنَ-
‘আর তোমার রব মৌমাছিকে ইংগিতে জানিয়েছেন যে, তুমি পাহাড়ে ও গাছে এবং তারা যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে নিবাস বানাও। অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চল। তার পেট হতে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে’ (নাহল ১৬/৬৮-৬৯)।
এক্ষণে প্রশ্ন হল, মানুষের উপর আল্লাহ তা‘আলার দানকৃত উপরোক্ত নে‘মত মধুর যাকাত আদায় করতে হবে কি-না? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে ছহীহ মত হল, মধুর যাকাত আদায় করতে হবে না। কেননা তা প্রথমতঃ কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দলীল দ্বারা সাব্যস্ত নয়। দ্বিতীয়তঃ তা এক প্রকার প্রাণীর পেট থেকে বের হয় যা গাভীর দুধের মত। সুতরাং দুধের যেমন যাকাত ফরয নয়, তেমনি মধুর যাকাত ফরয নয়।[1]