মহানবী (সঃ) বলেন, “মানুষ এবং কুফুর ও শিরকের মাঝে (অন্তরাল) নামায ত্যাগ।” (মুসলিম ৮২ নং)
তিনি আরো বলেন, “আমাদের মাঝে ও ওদের মাঝে চুক্তিই হল নামায। সুতরাং যে ব্যক্তি তা পরিত্যাগ কে, সে কাফের।” (তিরমিজি ২৬২১ নং, ইবনে মাজাহ ১০৭৯ নং, আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।)
আমিরুল মু’মিনীন উমার (রঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে, তার জন্য ইসলামে কোন অংশ নেই।” (বাইহাকি ৬৭৩৪ নং, ইবনে আবি সাইবাহ ৩৭০৭৪ নং)
ইবনে মাসউদ (রঃ) বলেন, ‘যার নামায নেই, তার দ্বীন নেই।’ (সঃ তারগিব ৫৭৪ নং)
আবু দারদা (রঃ) বলেন, ‘যার নামায নেই, তার ইমান নেই।’ (সঃ ৫৭৫ নং)
আব্দুল্লাহ বিন শাকিক বলেন, ‘নবী (সঃ) এর সাহাবা বৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরি মনে করতেন না।’ (তিরমিজি)
কিন্তু আপনি তাকে ‘কাফের’ বলবেন না। অথবা সম্বোধনের সময় ‘এ কাফের!’ বলবেন না। যেহেতু যে নামায পড়ে না, সে কাফের। কিন্তু আপনি যে বেনামাজিকে ‘কাফের’ বলছেন, সে প্রকৃত পক্ষে কাফের কি না, তা আপনি জানেন না। কারন ‘কাফের’ বলার আগে অনেক কিছু দেখবার ও ভাববার আছে। সুতরাং আপনি তাকে সরাসরি ‘তুমি কাফের’ না বলে বলবেন, ‘যে নামায পড়ে না, সে কাফের।’ অতঃপর তাকে নসিহত করবেন। তার সামনে দলীল পেশ করবেন। তার সন্দেহ নিরসন করবেন। আর সে সব না পারলে আপনি ‘কাফের’ বলার কে? (ইবনে বাজ)