عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ إِنَّ أَوَّلَ جُمُعَةٍ جُمِّعَتْ فِى الإِسْلاَمِ بَعْدَ جُمُعَةٍ جُمِّعَتْ فِىْ مَسْجِدِ رَسُوْلِ اللهِ بِالْمَدِيْنَةِ لَجُمُعَةٌ جُمِّعَتْ بِجُوَاثَاءَ قَرْيَةٍ مِنْ قُرَى الْبَحْرَيْنِ. قَالَ عُثْمَانُ قَرْيَةٌ مِنْ قُرَى عَبْدِ الْقَيْسِ.
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, নিশ্চয় মসজিদে নববীতে জুম‘আ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম যে জুম‘আ ছালাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেটা জুছা গ্রামে, যা ছিল বাহরাইনের কোন একটি গ্রাম। ওছমান (রাঃ) বলেন, আব্দুল ক্বায়েস গোত্রের কোন এক গ্রামে।[1]
উক্ত হাদীছ উল্লেখ করার পূর্বে ইমাম বুখারী (রহঃ) অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, بَابُ الْجُمُعَةِ فِى الْقُرَى وَالْمُدُنِ ‘গ্রামে ও শহর সমূহে জুম‘আর ছালাত’ অনুচ্ছেদ। ইমাম আবুদাঊদ (রহঃ) অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, بَابُ الْجُمُعَةِ فِى الْقُرَى ‘গ্রামে গ্রামে জুম‘আর ছালাত’ অনুচ্ছেদ। উল্লেখ্য যে, ‘হেদায়া’ কিতাবটি রচনা করা হয়েছে হাদীছের মূল গ্রন্থসমূহ সংকলনের প্রায় দুইশ’ বছর পরে। উক্ত হাদীছগুলো লেখকের দৃষ্টিগোচর হয়নি এমনটি বলা যাবে কি?
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّهُمْ كَتَبُوْا إِلَى عُمَرَ يَسْأَلُوْنَهُ عَنِ الْجُمُعَةِ؟ فَكَتَبَ جَمِّعُوْا حَيْثُمَا كُنْتُمْ.
(ইয়ামনবাসীরা) ওমর (রাঃ)-এর নিকট চিঠি লিখে জিজ্ঞেস করল জুম‘আর ছালাত সম্পর্কে। তখন তিনি তার উত্তরে লিখে পাঠান, যেখানে তোমরা অবস্থান করবে সেখানেই জুম‘আর ছালাত আদায় করবে।[2]
عَنِ ابْنِ عُمَر أَنَّهُ كَانَ يَرَى أَهْلَ الْمِيَاهِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِيْنَةَ يُجَمِّعُوْنَ فَلَا يَعِيْبُ عَلَيْهِمْ.
ইবনু ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি মক্কা-মদ্বীনার মাঝের অঞ্চলের লোকদেরকে জুম‘আর ছালাত আদায় করতে দেখতেন, কিন্তু তাদেরকে দোষারোপ করতেন না।[3]
অতএব গ্রামে জুম‘আ হবে না এমন দাবী সঠিক নয়। দুঃখজনক হল, জাল হাদীছের আমলই সমাজে চালু আছে। ছহীহ হাদীছের আমল সমাজ থেকে বিদায় নিয়েছে। ছহীহ হাদীছের প্রতি আত্মসমর্পণ না করে গ্রামের মসজিদে জুম‘আর ছালাত হবে না ভেবে ‘আখেরী যোহর’ চালু করা হয়েছে। একটি জাল হাদীছকে রক্ষা করতে গিয়ে আরেকটি বিদ‘আত চালু করা হয়েছে। একেই বলে মাযহাবী গোঁড়ামী।[4]
[2]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫১০৮; সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল হা/৫৯৯-এর আলোচনা দ্রঃ; তামামুল মিন্নাহ, পৃঃ ৩৩২।
[3]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৫১৮৫; সনদ ছহীহ, ফাৎহুল বারী হা/৮৯২-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ; ইরওয়াউল গালীল হা/৫৯৯-এর আলোচনা দ্রঃ।
[4]. সিলসিলা যঈফাহ হা/৯১৭-এর আলোচনা দ্রঃ- لَمَّا سَافَرْتُ فِىْ رَمَضَانَ سَنَةَ ১৩৯৬ إِلَى بَرِيْطَانِيَا سَرَّنِىْ جِدًّا أَنَّنِىْ رَأَيْتُ الْمُسْلِمِيْنَ فِىْ لَنْدَنْ يُقِيْمُوْنَ صَلاَةَ الْجُمُعَةِ وَالْعِيْدِ أَيْضًا وَبَعْضُهُمْ يُصَلُّوْنَ الْجُمُعَةَ فِىْ بُيُوْتٍ اِشْتَرَوْهَا أَوِ اسْتَأْجَرُوْهَا وَجَعَلُوْهَا ( مصليات ) يُصَلُّوْنَ فِيْهَا الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَالْجُمُعَاتِ فَقُلْتُ فِىْ نَفْسِىْ لَقَدْ أَحْسَنَ هَؤُلاَءِ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى هَذِهِ الْعِبَادَةِ الْعَظِيْمَةِ هِنَا فِىْ بِلاَدِ الْكُفْرِ وَلَوْ تَعَصَّبُوْا لِمَذْهَبِهِمْ وَجَلِّهِمْ مِنَ الْحَنَفِيَّةِ لَعَطَّلُوْهَا وَصَلُّوْهَا ظُهْرًا! فَازْدَدْتُ يَقِيْنًا بِأَنَّهُ لاَ سَبِيْلَ إِلَى نَشْرِ الْإِسْلاَمِ وَالْمُحَافَظَةِ عَلَيْهِ إِلاَّ بِالْاِسْتِسْلاَمِ لِنُصُوْصِ الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ وَاتَّبَاعِ السَّلَفِ الصَّالِحِ الْمُسْتَلْزَم الْخُرُوْجُ عَنِ الْجُمُوْدِ الْمَذْهَبِىِّ إِلَى فَسِيْحِ دَائِرَةِ الْإِسْلاَمِ الَّذِىْ بِنُصُوْصِهِ الَّتِىْ لاَ تُبْلَى يَصْلُحُ لِكُلِّ زَمَانٍ وَمَكَانٍ وَلَيْسَ بِالتَّعَصُّبِ الْمَذْهَبِىِّ.।