অধিকাংশ মুছল্লী বিতরের কুনূতে যে দু‘আ পাঠ করে থাকে, সেটা মূলতঃ কুনূতে নাযেলা।[1] রাসূল (ছাঃ) বিতর ছালাতে পড়ার জন্য হাসান (রাঃ)-কে যে দু‘আ শিক্ষা দিয়েছিলেন, তা মুছল্লীরা প্রত্যাখ্যান করেছে। অতএব বিতরের কুনূত হিসাবে রাসূল (ছাঃ)-এর শিক্ষা দেওয়া দু‘আ পাঠ করতে হবে।
عَنْ أَبِى الْحَوْرَاءِ السَّعْدِىِّ قَالَ قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِىٍّ رضى الله عَنْهُمَا عَلَّمَنِىْ رَسُوْلُ اللهِ كَلِمَاتٍ أَقُوْلُهُنَّ فِى الْوِتْرِ اللَّهُمَّ اهْدِنِىْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِىْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِىْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِىْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِىْ شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ.
আবুল হাওরা সা‘দী (রাঃ) বলেন, হাসান ইবনু আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূল (ছাঃ) আমাকে কতিপয় বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন। সেগুলো আমি বিতর ছালাতে বলি। সেগুলো হল- ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেদায়াত দান করুন, যাদের আপনি হেদায়াত করেছেন তাদের সাথে। আমাকে মাফ করে দিন, যাদের মাফ করেছেন তাদের সাথে। আমার অভিভাবক হন, যাদের অভিভাবক হয়েছেন তাদের সাথে। আপনি যা আমাকে দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন। আর আমাকে ঐ অনিষ্ট হতে বাঁচান, যা আপনি নির্ধারণ করেছেন। আপনিই ফায়ছালা করে থাকেন, আপনার উপরে কেউ ফায়ছালা করতে পারে না। নিশ্চয়ই ঐ ব্যক্তি লাঞ্ছিত হয় না, যাকে আপনি বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছেন। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি বরকতময়, আপনি সুউচ্চ’।[2] উল্লেখ্য যে, বিতরের কুনূত জামা‘আতের সাথে পড়লে শব্দগুলো বহুবচন করে পড়া যাবে।[3]
জ্ঞাতব্য : অনেকে কুনূতে বিতর ও কুনূতে নাযেলা একাকার করে ফেলেছেন।[4] অথচ কুনূতে নাযেলা ফরয ছালাতের জন্য। দুঃখজনক হল- মাযহাবী বিদ্বেষের কারণে এর প্রচলন করা হয়েছে।
[2]. আবুদাঊদ হা/১৪২৫, ১/২০১; তিরমিযী হা/৪৬৪, ১/১০৬; নাসাঈ হা/১৭৪৫; মিশকাত হা/১২৭৩, পৃঃ ১১২, সনদ ছহীহ। ইবনু মাজাহ হা/১১৭৮।
[3]. আহমাদ, ইরওয়া হা/৪২৯; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৩২৬৬।
[4]. তালীমুস্-সালাত, পৃঃ ১৭২-১৭৩; নবীজীর নামায, পৃঃ ২৪৩-২৪৪।