ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ প্রশ্ন এবং তাঁর উত্তরসমুহ হাফেয বিন আহমাদ আল-হাকামী (রহঃ)
প্রশ্নঃ (১৩৮) তাকদীরের উপর ঈমান আনয়নের সংক্ষিপ্ত দলীল কি?

উত্তরঃ তাকদীরের প্রতি ঈমান আনয়ন আবশ্যক হওয়ার অনেক দলীল রয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا

‘‘আল্লাহর বিধান পূর্ব থেকেই সুনির্ধারিত’’। (সূরা আহ্যাবঃ ৩৮) আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ

لِيَقْضِيَ اللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولاً

‘‘কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা এমন এক কাজ করতে চেয়ে ছিলেন যা পূর্বেই নির্ধারিত হয়ে গিয়ে ছিল’’। (সূরা আনফালঃ ৪৪) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولاً

‘‘আর আল্লাহর নির্ধারিত বিধান কার্যকরী হবেই’’। (সূরা আহযাবঃ ৩৭) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

مَا أَصَابَ مِنْ مُصِيبَةٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللَّهِ وَمَنْ يُؤْمِنْ بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ

‘‘আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কোন বিপদই আপতিত হয় না। আর যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন’’। (সূরা তাগাবুনঃ ১১) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

وَمَا أَصَابَكُمْ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ فَبِإِذْنِ اللَّهِ

‘‘দু’দলের সম্মুখীন হওয়ার দিনে তোমাদের উপর যে মুসীবত উপনীত হয়েছিল, তা আল্লাহরই ইচ্ছাক্রমে’’। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৬৬) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ * أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ

‘‘তাদের উপর কোন বিপদ আপতিত হলে তারা বলেঃ নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহরই জন্যে এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। তাদের উপর তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে শান্তি ও করুণা বর্ষিত হবে এবং এরাই সুপথগামী’’। (সূরা বাকারাঃ ১৫৬-১৫৬) এছাড়াও আরো অনেক আয়াত রয়েছে। হাদীছে জিবরীলে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ) .

‘‘আর তুমি তাকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে’’।[1] তিনি আরও বলেনঃ

وَأعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ)

‘‘মনে রেখো! যে মুসীবত তোমার উপর আপতিত হয়েছে, তা কখনই তোমার কাছে আসতে ভুল করার ছিল না। আর যে মুসীবত তোমার উপর আপতিত হয়নি তা কখনও আসার ছিল না’’।[2] তিনি আরও বলেনঃ

(وَإِنْ أَصَابَكَ شَيْءٌ فَلاَ تَقُلْ لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَانَ كَذَا وَكَذَا وَلَكِنْ قُلْ قَدَرُ اللَّهِ وَمَا شَاءَ فَعَلَ فَإِنَّ لَوْ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ)

‘‘তোমার উপর কোন মুসীবত আসলে তুমি এ কথা বলোনা যে, আমি যদি এরকম করতাম, তাহলে এরকম হত; বরং তোমরা বলঃ এটি আল্লাহ্ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত। তিনি যা চান তাই করেন’’।[3] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেনঃ

(كُلُّ شَيْءٍ بِقَدَرٍ حَتَّى الْعَجْزِ وَالْكَيْسِ)

‘‘প্রত্যেক জিনিষই তাকদীরে লিখিত আছে। এমনকি অপারগতা, অক্ষমতা, চালাকী এবং বুদ্ধিমত্তাও’’।[4]

[1] - বুখারী ও মুসলিম অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।

[2] - আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ সুন্নাহ।

[3] - মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল কাদ্র।

[4] - মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল কাদর।