ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
সহীহ দুআ ও যিক্‌র নামায শুরু করার সময় আবদুল হামীদ ফাইযী
নামায শুরু করার সময়

তকবীরে তাহরীমা বলে দুই হাত তুলে বক্ষঃস্থলে হাত বেঁধে নিম্নের যে কোন দুআ পড়তে হয়;

১।

اللهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ

উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা বা-ইদ বাইনী অ বাইনা খাত্বা-য়্যা-য়্যা কামা বা-আত্তা বাইনাল মাশরিকি অল মাগরিব, আল্লা-হুম্মা নাক্কিনী মিনাল খাত্বা-য়্যা, কামা য়ুনাক্কাস সাওবুল আবয়্যাদু মিনাদ দানাস, আল্লাহুম্মাগসিল খাত্বা-য়্যা-য়্যা বিল মা-য়ি অসসালজি অলবারাদ।

অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি আমার মাঝে ও আমার গোনাহসমূহের মাঝে এতটা ব্যবধান রাখ, যেমন তুমি পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে ব্যবধান রেখেছ। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে গোনাহসমূহ থেকে পরিষ্কার করে দাও, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! তুমি আমার গোনাহসমূহকে পানি, বরফ ও করকি দ্বারা ধৌত করে দাও। (বুঃ ১৮৯, মুঃ ৪১৯)

২।

سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণ: সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অ বিহামদিকা অ তাবারাকাসমুকা অ তাআলা জাদ্দুকা অ লাইলা-হা গায়রুক।

অর্থ- তোমার প্রশংসার সাথে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি হে আল্লাহ! তোমার নাম অতি বৰ্কতময়, তোমার মাহাত্ম্য অতি উচ্চ এবং তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। (আবু দাউদ)

৩।

اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلًا

উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবারু কাবীরা, অল হামদু লিল্লাহি কাসীরা, অ সুবহা-নাল্লাহি বুকরাতাউ অ আসীলা।

অর্থঃ আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহর অনেক অনেক প্রশংসা, আমি সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি। এই দুআটি দিয়ে নফল নামায শুরু করতে হয়। (মুঃ সিফাতু স্বলাতিন নাবী আলবনী ৮৭পৃঃ)

৪।

وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وما أنا من الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ له وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وأنا من الْمُسْلِمِينَ، اللهم أنت الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إلا أنت، أنت رَبِّي وأنا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لي ذُنُوبِي جميعا إنه لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إلا أنت، وَاهْدِنِي لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ لَا يَهْدِي لِأَحْسَنِهَا إلا أنت، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إلا أنت، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ في يَدَيْكَ وَالشَّرُّ ليس إِلَيْكَ،أنا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ

উচ্চারণ- অজজাহতু অজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস সামা-ওয়া-তি অআরযা হানীফাউ অমা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী অনুসুকী অমাহয়্যা-য়্যা অমামা-তী লিল্লা-হি রাব্বিল আলামীন। লা শারীকা লাহু অবিযা-লিকা উমিরতু অআনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লা-হুম্মা আন্তাল মালিকু লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত। সুবহা-নাকা অবিহামদিকা আন্তা রাব্বী অ আনা আবদুক। যালামতু নাফসী অ’তারাফতু বিয়ামবী, ফাগফিরলী যামবী জামীআন ইন্নাহু লা য়্যাগফিরুয যুনুবা ইল্লা আন্ত। অহদিনী লিআহসানিল আখলা-কি লা য়্যাহদী লিআহসিনহা ইল্লা আন্ত। অস্বরিফ আন্নী সাইয়্যিআহা লা য়্যাস্বরিফু আন্নী সাইয়্যিআহা ইল্লা আন্ত। লাব্বাইকা অ সা’দাইক, অলখায়রু কুল্লুহু ফী য়্যাদাইক। অশ্‌শাররু লাইসা ইলাইক, আলমাহদীয়্যু মান হাদাইত, আনা বিকা অ ইলাইক। লা মানজা অলা মালজাআ মিনকা ইল্লা ইলাইক, তাবারাকতা অতাআ-লাইত, আস্তাগফিরুকা অ আতুবু ইলাইক।

অর্থঃ আমি একনিষ্ঠ হয়ে তার প্রতি মুখ ফিরিয়েছি যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই। তার কোন অংশী নেই। আমি এ সম্বন্ধেই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি আত্মসমর্পণকারীদের প্রথম। হে আল্লাহ! তুমিই বাদশাহ তুমি ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করি। তুমি আমার প্রভু ও আমি তোমার দাস। আমি নিজের উপর অত্যাচার করেছি এবং আমি আমার অপরাধ স্বীকার করেছি। সুতরাং তুমি আমার সমস্ত অপরাধ মার্জনা করে দাও, যেহেতু তুমি ছাড়া অন্য কেউ অপরাধ ক্ষমা করতে পারে না। সুন্দরতম চরিত্রের প্রতি আমাকে পথ দেখাও, যেহেতু তুমি ছাড়া অন্য কেউ সুন্দরতম চরিত্রের প্রতি পথ দেখাতে পারে না। মন্দ চরিত্রকে আমার নিকট হতে দূরে রাখ, যেহেতু তুমি ছাড়া অন্য কেউ মন্দ চরিত্রকে আমার নিকট থেকে দূর করতে পারে না। আমি তোমার আনুগত্যে হাজির এবং তোমার আজ্ঞা মানতে প্রস্তুত। যাবতীয় কল্যাণ তোমার হাতে এবং মন্দের সম্পর্ক তোমার প্রতি নয়। হিদায়াতপ্রাপ্ত সেই, যাকে তুমি হিদায়াত করেছ। আমি তোমার অনুগ্রহে আছি এবং তোমারই প্রতি আমার প্রত্যাবর্তন। তুমি বরকতময় ও মহিমময়, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি। (মুঃ ১৫৩৪)

এই দুআটি ফরয ও নফল উভয় নামাযে পড়া চলে। (সিফাতু সালাতিন্নাবী ৮৫পৃঃ)

৫। নিম্নের দুআগুলি তাহাজ্জুদের নামাযে পড়া উত্তম। ‘সুবহা-নাকা’ (২নং দুআ) পড়ে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ৩ বার এবং আল্লাহু আকবার কাবীরা’ ৩ বার পাঠ করবে। (আবু দাউদ)

৬।

اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ ، وَقَوْلُكَ الْحَقُّ ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ ، وَالنَّارُ حَقٌّ ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ ، وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ ، وَبِكَ آمَنْتُ ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ ، وَبِكَ خَاصَمْتُ ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ وَلا إِلَهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু আন্তা নূরুস সামাওয়াতি অলআরযি অমান ফীহিন্ন। অলাকাল হামদু আন্তা ক্বাইয়্যিমুস সামাওয়াতি অলআরযি অমান ফীহিন্ন। অলাকাল হামদু আন্তা মালিকুস সামাওয়া-তি অলআরযি অমান ফীহিন্ন। অলাকাল হামদু আন্তাল হাক্ক, অ ওয়া'দুকাল হাক্কু, অক্বাওলুকাল হাক্কু, অলিক্বা-উকা হাক্ব, অলজান্নাতু হাক্ক, অন্না-রু হক্ক, অসসা-আতু হাক্ক, অন্নাবিয়্যুনা হাক্ক, অমুহাম্মাদুন হাক্ক। আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু অ আলাইকা তাওয়াক্কালতু অবিকা আ-মানতু অইলাইকা আনাবতু, অবিকা খা-স্বামতু অ ইলাইকা হা-কামতু আন্তা রাব্বুনা অ ইলাইকাল মাসীর। ফাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্‌খারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু অমা আন্তা আ’লামু বিহী মিন্নী। আন্তাল মুকাদ্দিমু অআন্তাল মুআখ্‌খিরু আন্তা ইলা-হী লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা অলা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিক।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমারই যাবতীয় প্রশংসা। তুমি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং উভয়ের মধ্যে অবস্থিত সকল কিছুর জ্যোতি। তোমারই সমস্ত প্রশংসা, তুমি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও উভয়ের মধ্যে অবস্থিত সকল কিছুর নিয়ন্তা, তোমারই সমস্ত প্রশংসা। তুমি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও উভয়ের মধ্যে অবস্থিত সকল কিছুর অধিপতি। তোমারই সমস্ত প্রশংসা, তুমিই সত্য, তোমার প্রতিশ্রুতিই সত্য, তোমার কথাই সত্য, তোমার সাক্ষাৎ সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, কিয়ামত সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ (%) সত্য। হে আল্লাহ! আমি তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করেছি, তোমার উপরেই ভরসা করেছি, তোমার উপরেই ঈমান (বিশ্বাস) রেখেছি, তোমার দিকে অভিমুখী হয়েছি, তোমারই সাহায্যে বিতর্ক করেছি, তোমারই নিকট বিচার নিয়ে গেছি। তুমি আমাদের প্রতিপালক, তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তনস্থল। অতএব তুমি আমার পুর্বের, পরের, গুপ্ত, প্রকাশ্য এবং যা তুমি অধিক জান সে সব পাপকে মাফ করে দাও। তুমিই প্রথম, তুমিই শেষ। তুমি আমার উপাস্য, তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং তোমার তওফীক ছাড়া পাপ থেকে ফিরার ও সৎকাজ করার (নড়া-সার) সাধ্য নেই। (বুঃ ৩/৩, মুঃ ১/৫৩২)।

اللَّهُمَّ رَبَّ جَبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنْ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মা রাব্বা জিবরাঈলা অমীকা-ঈলা অ ইসরা-ফীল। ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি অলআরয্ব, আ-লিমাল গায়বি অশশাহাদাহ। আন্তা তাহকুমু বাইনা ইবাদিকা ফীমা কা-নূ ফীহি য়্যাখতালিফুন। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হক্কি বিইযনিক, ইন্নাকা তাহদী মান তাশা-উ ইলা সিরা-ত্বিম মুসতাক্বীম।

অর্থ হে আল্লাহ! হে জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের প্রভু! হে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা! হে দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা! তুমি তোমার বান্দাদের মাঝে মীমাংসা কর, যে বিষয়ে ওরা মতভেদ করে। যে বিষয়ে মতভেদ করা হয়েছে সে বিষয়ে তুমি আমাকে তোমার অনুগ্রহে সত্যের পথ দেখাও। নিশ্চয় তুমি যাকে ইচ্ছা সরল পথ দেখিয়ে থাক। (মুসলিম)

৮। আল্লাহু আকবার” ১০বার, আলহামদু লিল্লা-হ’ ১০বার, সুবহা-নাল্লাহ’ ১০বার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ১০বার, 'আস্তাগফিরুল্লাহ’ ১০বার, আল্লা-হুম্মাগফির লী অহদিনী অরযুক্‌নী অআফিনী’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, হেদায়াত কর, রুজি ও নিরাপত্তা দাও) ১০ বার, এবং আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনায্বযাইকি য়্যাউমাল হিসাব’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি হিসাবের দিনে সংকীর্ণতা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি) ১০ বার। (আহমাদ, আবূ দাউদ ৭৬৬)

৯। আল্লাহু আকবার’ ৩ বার। অতঃপর,

ذو الملكوت والجبروت والكبرياء والعظمة

উচ্চারণ- যুল মালাকূতি অলজাবারুতি অলকিবরিয়া-য়ি, অলআযামাহ।

অর্থ- (আল্লাহ) সার্বভৌমত্ব, প্রবলতা, গর্ব ও মাহাত্ম্যের অধিকারী। (আবু দাউদ)

উপরোক্ত যে কোন একটি দুআ পাঠ করে বলবে;

أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، مِنْ هَمْزِهِ، وَنَفْخِهِ، وَنَفْثِهِ

উচ্চারণ- আউযু বিল্লা-হিস সামীইল আলীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম, মিন হামযিহী অনাফখিহী অনাফসিহ।

অর্থ- আমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তান থেকে তার প্ররোচনা ও ফুৎকার হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউ দারাকুতনী, তিরমিয় হাকেম)।

অতঃপর নামাযী ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ বলে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পাঠ করবে। সূরা ফাতিহার শেষে কিরাআত অনুযায়ী স্বশব্দে বা নিঃশব্দে আমীন (কবুল কর) বলবে।