খ্রিস্টপূর্ব পনেরো শত বছর আগে আর্যরা মধ্য এশিয়া থেকে এসে ‘‘সিন্ধু’’ তথা ‘‘হড়প্পা’’ ও ‘‘মহেঞ্জুদাড়ু’’ এলাকায় বসবাস শুরু করে। তখন এ সকল এলাকাকে উপমহাদেশের সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হতো। হিন্দুদের প্রথম গ্রন্থ ‘‘ঋগ্বেদ’’ এ আর্যদেরই লেখা। যা ওদের দেব-দেবীদের সম্মানগাথায় পরিপূর্ণ। এখান থেকেই হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি।
এ ছাড়াও খ্রিস্টপূর্ব পাঁচ শত বছর আগে উপমহাদেশে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের প্রচলন ছিলো। অতএব নিশ্চিতভাবে এ কথা বলা যায় যে, আড়াই বা সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্ব থেকে এ উপমহাদেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি, চাল-চলন ও ধর্মে-কর্মে উক্ত ধর্মমতগুলো অবর্ণনীয় প্রভাব বিস্তার করে চলছে। (আর্য শাস্ত্রের ভূমিকা, পৃষ্ঠা: ৫৯)
উক্ত তিনটি ধর্ম ‘‘ওয়াহ্দাতুল্ উজূদ্’’ ও ‘‘’হুলূলে’’ বিশ্বাস করতো। বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা গৌতম বুদ্ধকে আল্লাহ্ তা’আলার অবতার বলে মনে করে তার মূর্তি পূজা করে। জৈন ধর্মের অনুসারীরা মহাবীরের মূর্তি ছাড়াও সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র, গাছ, পাথর, নদী, সাগর, অগ্নি, বায়ু ইত্যাদির পূজা করে। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা নিজ ধর্মের বড় বড় ব্যক্তিদের (পুরুষ-মহিলা) মূর্তি ছাড়াও পূর্বোক্ত বস্ত্তগুলোর পূজা করে। তাদের পূজার বস্ত্তগুলোর মধ্যে বলদ, গাভী, হাতি, সিংহ, সাপ, ইঁদুর, শুকর, বানরের মূর্তিও রয়েছে। এমনকি তারা পুরুষ বা মহিলার লজ্জাস্থান পূজা করতেও দ্বিধা করেনা। তারা শিবজী মহারাজের পুরুষাঙ্গ এবং শক্তিদেবীর স্ত্রী লিঙ্গ পূজা করে তাদের প্রতি ভক্তি-সম্মান প্রদর্শন করে।
ধর্ম তিনটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়ের পর আমরা এখন হিন্দু ধর্মের কিছু আচার-অনুষ্ঠানের কথা আলোচনা করতে যাচ্ছি। যাতে আপনারা বুঝতে পারবেন যে, উপমহাদেশে শির্ক ও বিদ্’আত বিস্তারে হিন্দু ধর্মের কতটুকু প্রভাব রয়েছে।
ক. হিন্দু ধর্মের ইবাদাত ও তপস্যা পদ্ধতি:
হিন্দু ধর্মের শিক্ষানুযায়ী তার অনুসারীরা পরকালের মুক্তি ও শান্তির জন্য জঙ্গলে বা গিরি গুহায় বসবাস করতো। তারা নিজ শরীরকে হরেক রকমের কষ্ট দেয়ায় সর্বদা ব্যস্ত থাকতো। গরম, ঠান্ডা, বৃষ্টি ও বালুকাময় জমিনে উলঙ্গ শরীরে থাকাকে তারা পবিত্র তপস্যা বলে বিশ্বাস করতো। নিজকে পাগলের ন্যায় কষ্ট দিয়ে, উত্তপ্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গের উপর উপুড় হয়ে, টাটানো সূর্যতাপে উলঙ্গ শরীরে বসে, কাঁটার উপর শুয়ে, গাছের ডালে ঘন্টার পর ঘন্টা ঝুলে অথবা মাথার উপর উভয় হাত দীর্ঘক্ষণ উঁচিয়ে রেখে অনুভূতিহীন করে বা শুকিয়ে কাঁটা বানিয়ে তপস্যা করতো। এ শারীরিক কষ্ট ছাড়াও তারা নিজ মস্তিষ্ক এবং রূহ্কে কষ্ট দেয়া নাজাতের কাজ বলে মনে করতো। এ কারণেই হিন্দুরা মানব জনপদের বাইরে একা একা ধ্যান করতো। তাদের কেউ কেউ ঝোপ-ঝাড়ে কয়েক জন একত্রে মিলে বসবাস করতো। আবার কেউ কেউ ভিক্ষার উপর নির্ভর করে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতো। কেউ কেউ উলঙ্গ থাকতো। আবার কেউ কেউ লেংটি পরতো। পুরো ভারত ঘুরলে এখনো আপনি জঙ্গল, নদী ও পাহাড়ে অনেক জটাধারী, উলঙ্গ ও ময়লাযুক্ত সাধুর সাক্ষাৎ পাবেন। সাধারণ হিন্দু সমাজে এদেরকে আবার পূজাও করা হয়। (আর্য শাস্ত্রের ভূমিকা, পৃষ্ঠা: ৯৯)
রূহানী শক্তি ও সংযম অর্জনের জন্য ‘‘যোগ সাধন’’ নামক তপস্যার এক অভিনব পদ্ধতিও হিন্দু সমাজে আবিষ্কৃত হয়েছিলো। যে পদ্ধতি হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের সকলেই সমভাবে পালন করতো। এ পদ্ধতি অনুযায়ী যোগী ব্যক্তি এতো বেশি সময় পর্যন্ত নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখতো যে তা দেখে মনে হতো, সে মরে গেছে। এমনকি তখন হৃদকম্পনও বুঝা যেতোনা। গরম-ঠান্ডা তাদের উপর সামান্যটুকুও প্রভাব বিস্তার করতে পারতোনা। যোগী ব্যক্তি উক্ত সাধনার কারণে অনেক দিন পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে পারতো। (আর্য শাস্ত্রের ভূমিকা, পৃষ্ঠা: ১২৯)
যোগ সাধনের এক ভয়ানক চিত্র এই যে, সাধু ও যোগীরা ফুলকি ঝরা জ্বলন্ত কয়লার উপর হেঁটে যেতো। অথচ তাদের পা একটুও জ্বলতোনা। এ ছাড়া ধারালো ফলক বিশিষ্ট খঞ্জর দিয়ে এক গন্ড থেকে আরেক গন্ড পর্যন্ত, নাকের উভয় অংশ এবং উভয় ঠোঁট এপার ওপার চিঁড়ে দেয়া, ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা, তরতাজা কাঁটা এবং ফলক বিশিষ্ট কয়লার উপর শুয়ে থাকা, দিন-রাত উভয় পা অথবা এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকা, এক পা অথবা এক হাতকে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত অকেজো রাখা যাতে তা শুকিয়ে যায়, লাগাতার উল্টোভাবে ঝুলে থাকা, পুরো জীবন অথবা বর্ষাকালে উলঙ্গ থাকা, পুরো জীবন বিবাহ না করে সন্ন্যাসী সেজে থাকা, নিজ পরিবারবর্গ ছেড়ে একা উঁচু গিরি গুহায় ধ্যানে মগ্ন থাকাও যোগীদের ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত। (আর্য শাস্ত্রের ভূমিকা, পৃষ্ঠা: ১৩০)
হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে যাদু-মন্ত্রের মাধ্যমেও ইবাদাত করা হয়। এ জাতীয় ইবাদাতে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে তান্ত্রিক বলা হয়। এরা জ্ঞান-ধ্যানকে পরকালের নিষ্কৃতির বিশেষ কারণ বলে মনে করে। পুরাণ বেদীয় আলোচনায় পাওয়া যায় যে, সাধুরা যাদু ও নিম্ন কর্মে লিপ্ত থাকতো। এ দলের লোকেরা কড়া নেশাকর মদ্য পান করা, গোস্ত এবং মাছ খাওয়া, অস্বাভাবিক যৌন কর্ম করা, নাপাক বস্ত্ত সামগ্রীকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের নামে মানব হত্যা করার মতো নিকৃষ্ট কাজও ইবাদাত হিসেবে পালন করতো। (আর্য শাস্ত্রের ভূমিকা, পৃষ্ঠা: ১১৭)
খ. হিন্দু বুযুর্গদের অলৌকিক ক্ষমতা:
মুসলমানদের মধ্যে যেমন গাউস, ক্বুতুব, নাজীব, আব্দাল, ওলী, ফকির, দরবেশকে বড় বড় বুযুর্গ ও অলৌকিক ক্ষমতার উৎস বলে মনে করা হয় তেমনিভাবে হিন্দুদের মধ্যে মুনি, ঋষি, মহাত্মা, অবতার, সাধু, সন্ত, যোগী, সন্ন্যাসী, শাস্ত্রীকেও বড় বড় বুযুর্গ এবং অলৌকিক ক্ষমতার উৎস বলে মনে করা হয়। হিন্দুদের পবিত্র কিতাবাদির ভাষ্যানুযায়ী এ সকল বুযুর্গরা গত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলতে পারে। জান্নাতে দৌড়ে যেতে পারে। দেবতাদের দরবারে তাদের বিশেষ সম্মান রয়েছে। তারা এমন যাদুশক্তি রাখে যে, মনে চাইলে দুনিয়ার পাহাড়গুলোকে এক নিমিষে উঠিয়ে নিয়ে নদীতে ফেলে দিতে পারে। নিজ শত্রুকে চোখের পলকে জ্বালিয়ে ভস্ম করে দিতে পারে। ঋতুগুলোকে এলোমেলো করে দিতে পারে। এরা খুশি হলে পুরো শহরকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। ধন-দৌলত বাড়িয়ে দিতে পারে। দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচাতে পারে। শত্রুর আক্রমণ নস্যাৎ করে দিতে পারে। (আর্য শাস্ত্রের ভূমিকা, পৃষ্ঠা: ৯৯-১০০)
তাদের ধারণা মতে মুনি এমন পবিত্র ব্যক্তি যে কোন কাপড় পরেনা। বায়ুকে পোশাক মনে করে। চুপ থাকাই তার খাদ্য। সে বাতাসে উড়তে পারে। এমনকি পাখিদেরও অনেক উপরে যেতে পারে। মানুষের সকল লুক্কায়িত কথা বলতে পারে। কারণ, তারা এমন পানীয় পান করে যা সাধারণ মানুষের জন্য বিষ সমতুল্য। (আর্য শাস্ত্রের ভূমিকা, পৃষ্ঠা: ৯৮)
শিবজীর ছেলে লর্ড গনেশ সম্পর্কে ধারণা করা হয়, সে ইচ্ছে করলে যে কোন সমস্যা দূরীভূত করতে পারে। ইচ্ছে করলে কারোর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। উক্ত কারণেই হিন্দুদের যে কোন ছেলে পড়ার বয়সের হলে তাকে সর্বপ্রথম গনেশের পূজাই শিক্ষা দেয়া হয়। (রোজনামায়ে সিয়াসাত: কালাম, ফিক্র ও নযর ; তারিখঃ ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ হায়দারাবাদ, ভারত)
গ. হিন্দু বুযুর্গদের কিছু কারামাত:
হিন্দুদের পবিত্র কিতাবসমূহে তাদের বুযুর্গদের অনেক অনেক কারামাতের সংবাদ পাওয়া যায়। আমরা দৃষ্টান্ত স্বরূপ কয়েকটি কারামাত সবার সম্মুখে তুলে ধরছি।
১. হিন্দুদের ধর্মীয় পুস্তক রামায়ণে রাম ও রাবণের লম্বা ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। রাম নিজ স্ত্রী সীতাকে নিয়ে জঙ্গলে বসবাস করতো। লঙ্কার রাজা রাবণ তার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেলো। রাম হনুমানের সহযোগিতায় কঠিন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর নিজ স্ত্রীকে ফেরত পায়। কিন্তু রাম এরপর তার স্ত্রীকে তাদের পবিত্র বিধি-বিধানানুযায়ী পরিত্যাগ করে। সীতা তা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার জন্য আগুনে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু অগ্নি দেবতা আগুনকে নিবে যাওয়ার আদেশ করলেন। সুতরাং সীতা জ্বলন্ত আগুন থেকে সুস্থ বের হয়ে আসলো।
২. একদা বৌদ্ধ ধর্মের ভক্শু দরবেশ একটি অলৌকিক কান্ড দেখালেন। তিনি একটি পাথর থেকে একই রাতে হাজার শাখা বিশিষ্ট একটি আম গাছ তৈরী করেন। (আর্য শাস্ত্রের ভূমিকা, পৃষ্ঠা: ১১৬-১১৭)
৩. কামদেব, কামদেবী ও তাদের বিশেষ বন্ধু বসন্তের খোদা যখন পরস্পর খেলাধুলা করতো তখন কামদেব নিজের ফুলের তীর দিয়ে শিবদেবের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করতো এবং শিবদেব নিজের তৃতীয় চক্ষু দিয়ে সে তীরগুলোর উপর দৃষ্টি দিতেই তা নির্বাপিত মাটির ন্যায় ভস্ম হয়ে যেতো। এভাবে শিবদেব সব ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতো। কারণ, তার কোন শরীর ছিলো না। (আর্য শাস্ত্রের ভূমিকা, পৃষ্ঠা: ৯০)
৪. হিন্দুদেব লর্ড গনেশের পিতা শিবজী সম্পর্কে বলা হয়, লর্ড শিব পার্বতী দেবীকে গোসলের সময় গোসলখানায় ঢুকে কষ্ট দিতো। তাই পার্বতী দেবী (শিবের স্ত্রী) এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একদা এক মানব মূর্তি তৈরী করে তার মধ্যে জীবন দিয়ে গোসলখানার গেইটে প্রহরী হিসেবে বসিয়ে দিলো। অতঃপর অন্য দিনের মতো শিবজী পার্বতীকে কষ্ট দেয়ার জন্য গোসলখানার দিকে রওয়ানা করলো। শিবজী গোসলখানায় ঢুকতে চাইলে প্রহরী মানব মূর্তি সুন্দর ছেলেটি তার পথ রুদ্ধ করে দেয়। শিবজী ক্রদ্ধ হয়ে ত্রিশূল দিয়ে ছেলেটির মাথা কেটে দেয়। পার্বতী দেবী এতে অসন্তুষ্ট হলে শিবজী তার কর্মচারীদেরকে অতি তাড়াতাড়ি যে কারোর একটি মাথা কেটে নিয়ে আসার জন্য আদেশ করলো। কর্মচারীরা তড়িঘড়ি একটি হাতীর মাথা কেটে নিয়ে আসলে শিবজী ছেলেটির ধড়ের সাথে হাতীর মাথা লাগিয়ে তাতে জীবন দিয়ে দিলো। পার্বতী দেবী তাতে খুব খুশি হলো। (রোজনামায়ে সিয়াসাত: কালাম, ফিকর ও নযর ; তারিখঃ ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ হায়দারাবাদ, ভারত)
হিন্দু ধর্মের কিছু শিক্ষাদীক্ষা শুনার পর আপনারা এ কথা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন যে, সূফীদের আক্বীদা-বিশ্বাস, শিক্ষাদীক্ষা হিন্দু ধর্ম কর্তৃক কতটুকু প্রভাবিত হয়েছে। ‘‘ওয়াহ্দাতুল্ উজূদ্’’ ও ‘‘’হুলূল’’ এর বিশ্বাস একই। ইবাদাত ও তপস্যা পদ্ধতি একই। বুযুর্গদের অলৌকিক ক্ষমতা একই। কারামাতও একই। ব্যবধান শুধু নামেরই। অন্য কিছুর নয়।
উক্ত আলোচনার পর যখন আমরা শুনবো যে, ভারতের অমুক পীর বা ফকিরের মুরীদ হিন্দুও ছিলো এবং অমুক মুসলমান হিন্দু সাধু ও যোগীর জ্ঞান-ধ্যানে অংশ গ্রহণ করেছে তখন আমাদের আশ্চর্যের কিছুই থাকবে না।
বলা হয়, হাফিয গোলাম কাদির নিজ যুগের একজন গাউস ও ক্বুতুব ছিলেন। তাঁর রূহানী ফয়েয প্রত্যেক বিশেষ অবিশেষের জন্য এখনো চালু রয়েছে। এ কারণেই হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান তথা প্রত্যেক দল ও ধর্মের লোক তাঁর কাছ থেকে ফয়েয হাসিল করতো।
(রিয়াযুস্ সা’লিকীন, পৃষ্ঠা: ২৭২ শরীয়ত ও তরীক্বত, পৃষ্ঠা: ৪৭৭)
পীর স্বাদ্রুদ্দীন ইস্মাঈলী ভারতে এসে নিজের নাম শাহ্দেব রাখলেন এবং জনগণকে বললেনঃ বিষ্ণুর দশম অবতার ’আলী (রা.) এর ছবিতে প্রকাশ পেয়েছে। তার অনুসারী সূফীরা মুহাম্মাদ্ (সা.) এবং ’আলী (রা.) এর প্রশংসায় ভজন গাইতো। (ইসলামী সূফীবাদে ইসলাম বিরোধী সূফীবাদের সংমিশ্রণ, পৃষ্ঠা: ৩২-৩৩)