ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ অষ্টম অধ্যায়: সাওম সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা ইসলামহাউজ.কম
প্রশ্ন : এক ব্যক্তি কঠিন হাপানী রোগে ভুগছে। দু বছর পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলছে। ডাক্তার তাকে রমযানে সাওম পালন করতে নিষেধ করেছে। তাকে বলেছে যদি সে সাওম পালন করে তবে রোগ বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় সাওম বর্জনের হুকুম কী?

জওয়াব: আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন,

﴿فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۗ﴾ [البقرة: ١٨٥]

“যে কেউ রমযান মাস পাবে সে যেন সাওম পালন করে। আর যে রোগাক্রান্ত অথবা সফরে থাকে সে যেন অন্য সময়ে আদায় করে নেয়।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫]

অর্থাৎ রোগের কারণে সাওম পালনে যদি কষ্ট হয় অথবা সুস্থতা লাভে বিঘ্ন ঘটে তাহলে সে রমযানে সাওম পালন না করে অন্য সময়ে আদায় করবে। তাই তো আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ﴾ [البقرة: ١٨٥]

“আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান, যা কষ্টকর তা চান না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫]

ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, যদি ডাক্তার মুসলিম ও সৎ-ন্যায়পরায়ণ হন এবং বলেন সাওম রোগের ক্ষতি করবে অথবা সুস্থতা লাভে দেরী হবে তবে সাওম পালন না করা জায়েয আছে। আর যদি ডাক্তার মুসলিম না হন অথবা মুসলিম কিন্তু সৎ নন তাহলে তার কথা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে হ্যা, রোগী যদি অনুভব করে যে সাওম তার জন্য ক্ষতির কারণ হবে তাহলে সে সাওম পালনে বিরত থাকতে পারবে। পরে সুযোগ মতো সময়ে কাযা আদায় করে নিবে। কাফফারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।