ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ দ্বিতীয় অধ্যায়: সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম ইসলামহাউজ.কম
ঈদের দিনে সাওম পালন

বনু আযহারের আযাদকৃত গোলাম আবু ‘উবায়দ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«شَهِدْتُ العِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: «هَذَانِ يَوْمَانِ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صِيَامِهِمَا: يَوْمُ فِطْرِكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ، وَاليَوْمُ الآخَرُ تَأْكُلُونَ فِيهِ مِنْ نُسُكِكُمْ»

“আমি একবার ঈদে উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর সঙ্গে ছিলাম, তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুই দিনে সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন। (ঈদুল ফিতরের দিন) যে দিন তোমরা তোমাদের সাওম ছেড়ে দাও। আরেক দিন, যেদিন তোমরা তোমাদের কুরবানীর মাংস খাও।”[1]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ صِيَامِ يَوْمَيْنِ يَوْمِ الْأَضْحَى، وَيَوْمِ الْفِطْرِ»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’দিন সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন। এক হলো কুরবানীর দিন আর দ্বিতীয় হলো ঈদুল ফিতরের দিন।”[2]

কাযাআ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«سَمِعْتُ مِنْهُ حَدِيثًا فَأَعْجَبَنِي، فَقُلْتُ لَهُ: آنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: فَأَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَمْ أَسْمَعْ؟ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: لَا يَصْلُحُ الصِّيَامُ فِي يَوْمَيْنِ: يَوْمِ الْأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ، مِنْ رَمَضَانَ»

“আমি আবু সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে একটি হাদীস শ্রবণ করেছি। হাদীসটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আপনি এ হাদীস শুনেছেন কি? তিনি বললেন, যে কথা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনি নি এমন কথা তাঁর দিকে সম্বোধন করে আমি বলতে পারি কি? আমি শুনেছি তিনি বলেছেন, দু’দিন সাওম পালন করা শুদ্ধ নয়, ঈদুল আযহার দিন এবং ঈদুল ফিতরের দিন।”[3]

আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,

«أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ صِيَامِ يَوْمَيْنِ، يَوْمِ الْفِطْرِ، وَيَوْمِ النَّحْرِ»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’দিন অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন এবং কুরবানীর দিন সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন।”[4]

যিয়াদ ইবন জুবায়র রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، فَقَالَ: إِنِّي نَذَرْتُ أَنْ أَصُومَ يَوْمًا، فَوَافَقَ يَوْمَ أَضْحَى أَوْ فِطْرٍ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَمَرَ اللهُ تَعَالَى بِوَفَاءِ النَّذْرِ، وَنَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَوْمِ هَذَا الْيَوْمِ»

“এক ব্যক্তি ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর নিকট এসে বললেন, আমি এক দিন সাওম পালন করার মানত করেছিলাম। ঘটনাক্রমে তা ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের দিন হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা মানত পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দিন সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন।”[5]

‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَوْمَيْنِ: يَوْمِ الْفِطْرِ، وَيَوْمِ الْأَضْحَى»

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা -এ দু’দিন সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন।”[6]

আবু সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الفِطْرِ وَالنَّحْرِ، وَعَنِ الصَّمَّاءِ، وَأَنْ يَحْتَبِيَ الرَّجُلُ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، وَعَنْ صَلاَةٍ بَعْدَ الصُّبْحِ وَالعَصْرِ»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন সাওম পালন করা থেকে, ‘সাম্মা’ ধরনের কাপড় পরিধান করতে, এককাপড় পরিধানরত অবস্থায় দুই হাঁটু তুলে নিতম্বের উপর বসতে (কেননা এতে সতর প্রকাশ পাওয়ার আশংকা রয়েছে) এবং ফজর ও ‘আসরের পরে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন।”[7]

>
[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৯০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩৭।

[2] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩৮।

[3] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮২৭।

[4] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩৮।

[5] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩৯।

[6] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৪০।

[7] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৯১।