ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
সৌভাগ্যময় ঘর ও স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব প্রথম প্রবন্ধ - সৌভাগ্যময় ঘর ইসলামহাউজ.কম
উপসংহার

পরিশেষে- আমার মুসলিম ভাই ও বোন! আল্লাহ তোমাদেরকে তাওফীক দিন:

নিশ্চয়ই পরিবারের সংস্কার হল গোটা সমাজের নিরাপত্তার উপায়; এমন সমাজকে সংস্কার করা অসম্ভব, যাতে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়েছে; কিভাবেই বা সম্ভব, অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা পারিবারকে নিয়ামত হিসেবে আমাদের কাছে অনুগ্রহ হিসেবে তুলে ধরেছেন। যে নেয়ামতটি হচ্ছে পরিবারের পরস্পর বন্ধন, মিলন ও চিরাচয়িত সম্পর্ক ..। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:

﴿ وَٱللَّهُ جَعَلَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا وَجَعَلَ لَكُم مِّنۡ أَزۡوَٰجِكُم بَنِينَ وَحَفَدَةٗ وَرَزَقَكُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِۚ أَفَبِٱلۡبَٰطِلِ يُؤۡمِنُونَ وَبِنِعۡمَتِ ٱللَّهِ هُمۡ يَكۡفُرُونَ ٧٢ ﴾ [النحل: ٧٢]

“আর আল্লাহ তোমাদের থেকে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন; আর তোমাদের যুগল থেকে তোমাদের জন্য পুত্র-পৌত্রাদি সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম জীবণোপকরণ দান করেছেন। তবুও কি ওরা মিথ্যাতে বিশ্বাস করবে এবং ওরা আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?” - ( সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৭২ )।

নিশ্চয়ই স্বামী-স্ত্রী ও তাদের মধ্যকার মজবুত সম্পর্ক এবং পিতা-মাতা ও তাদের কোলে বেড়ে উঠা সন্তান-সন্ততি- এ বিষয় দু’টি বর্তমান জাতি ও ভবিষ্যৎ জাতি হিসেবে বিবেচ্য। তাই এটা বলা যায় যে, শয়তান যখন পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করার ব্যাপারে সফল হবে, তখন এর মাধ্যমে সে কেবল একটি সংসারকেই ধ্বংস করবে না, কোনো সীমাবদ্ধ অনিষ্টতাই সংঘটিত করবে না বরং তা গোটা জাতিকে বড় ধরনের ক্ষতি ও দ্রুততর অনিষ্টতার মধ্যে নিক্ষেপ করবে। আর বর্তমান বাস্তবতা তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ।

সুতরাং আল্লাহ ঐ পুরুষ ব্যক্তিকে রহম করুন, যিনি প্রশংসনীয় চরিত্র ও উৎকৃষ্ট মনের অধিকারী, উদার, কোমল, দয়ালু, তার পরিবারের প্রতি স্নেহপরায়ণ এবং তার কাজের ব্যাপারে বিচক্ষণ; যিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না, কঠোরতা আরোপ করে যুলুম করেন না এবং দায়িত্বের ব্যাপারে উদাসীনতার পরিচয় দেন না।

আর আল্লাহ ঐ নারীর প্রতি রহম করুন, যিনি ভুল-ত্রুটি খোঁজে বেড়ান না, বেশি শোরগোল করেন না, সততাপরায়ণা, আনুগত্যপরায়ণা এবং অদৃশ্য অংশের হেফাজতকারিনী, যেভাবে আল্লাহ হেফাজত করেছেন।

সুতরাং হে স্বামী ও স্ত্রীগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর; আর হে মুসলিমগণ! তোমরাও আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর; কারণ, যে ব্যক্তি আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করবে, তিনি তার জন্য তার কাজকে সহজ করে দিবেন।

(আল্লাহ রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণের প্রতি; আরও রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন তাঁর সাহাবীগণ এবং কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা তাঁদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করবে তাদের প্রতি)।

سبحانك اللهم و بحمدك , أشهد أن لا إله إلا أنت أستغفرك و أتوب إليك

(হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসাসহ তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার নিকট তাওবা করছি)।