ব্যাখ্যামূলক বক্তব্য: বান্দা (আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও কাছে) যদি এমন সব বিষয় চায় যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ দিতে সক্ষম নয়। যেমন, মানুষ বা জীব জন্তুর রোগের আরোগ্য প্রার্থনা অথবা কোনো সুনির্দিষ্ট উৎস ব্যতীত দেনা পরিশোধ অথবা তার পরিবার পরিজনের ক্ষমা এবং দুনিয়া ও আখিরাতের অন্যান্য বিপদ মুসীবত অথবা শত্রুর ওপর বিজয়ী হওয়া অথবা অন্তরের হিদায়াত ও গুনাহের ক্ষমা অথবা তার জান্নাতে প্রবেশ অথবা জাহান্নাম থেকে মুক্তি অথবা কোনো ইলম ও কুরআন শিক্ষা লাভ করা অথবা অন্তরের সুস্থতা এবং চরিত্রের সৌন্দর্য অথবা অন্তরের পরিশুদ্ধি ইত্যাদি, এগুলো হচ্ছে এমন সব কর্মকাণ্ডের উদাহরণ যার কোনোটিই আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যের কাছে চাওয়া বৈধ নয়। কোনো ফিরিশতা, নবী, পীরের কাছে চাওয়া, চাই তিনি জীবিত হোন অথবা মৃত, তাদের কাছে এ বলা জায়েয নয় যে, আমার পাপ ক্ষমা করুন, আমাকে আমার শত্রুর ওপর বিজয়ী করুন, আমার রোগ সুস্থ করুন, আমাকে ক্ষমা করুন অথবা আমার পরিবার-পরিজনকে বা আমার সওয়ারীকে নিরাপত্তা দিন, অনুরূপ বিষয়সমূহ। তাই যে এসব কিছু কোনো সৃষ্ট-জীবের কাছে চায় তাহলে সে তার রবের সাথে অংশীদার স্থাপনকারী সেসব মুশরিকদের ন্যায়, যারা ফিরিশতা, নবীগণ ও মূর্তির আকৃতি তৈরি করে তাদের ইবাদত করে। অনুরূপ তারা নাসারাদের ন্যায়, যারা মসীহ ও তার মাকে ডাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِذۡ قَالَ ٱللَّهُ يَٰعِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ ءَأَنتَ قُلۡتَ لِلنَّاسِ ٱتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَٰهَيۡنِ مِن دُونِ ٱللَّهِۖ ١١٦﴾ [المائ‍دة: ١١٦]

“স্মরণ করুন, যখন আল্লাহ বলেন, হে ‘ঈসা ইবন মারইয়াম আপনি কি মানুষদের বলেছিলেন যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত আমাকে ও আমার মাকে দুই ইলাহ হিসেবে গ্রহণ কর?” [সূরা আল মায়েদা, আয়াত: ১১৬]

আল্লাহ আরো বলেন,

﴿ٱتَّخَذُوٓاْ أَحۡبَارَهُمۡ وَرُهۡبَٰنَهُمۡ أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَٱلۡمَسِيحَ ٱبۡنَ مَرۡيَمَ وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُوٓاْ إِلَٰهٗا وَٰحِدٗاۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ سُبۡحَٰنَهُۥ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ٣١﴾ [التوبة: ٣١]

“তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পণ্ডিত ও সংসার-বিরাগিদেরকে তাদের রবরূপে গ্রহণ করেছে এবং মারইয়াম-পুত্র মসীহকেও। অথচ এক ইলাহের ইবাদাত করার জন্যই তারা আদিষ্ট হয়েছিল। তিনি ব্যতীত অন্য কোনো সত্য ইলাহ নেই। তারা যে শরীক করে তা থেকে তিনি কত না পবিত্র!” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩১]

পক্ষান্তরে যে ব্যাপারে কোনো বান্দা সামর্থ্যবান তার কাছে কিছু কিছু অবস্থায় চাওয়া জায়েয আছে। কেননা সৃষ্ট-জীবের কাছে চাওয়া কখনও জায়েয করা হয়েছে, আবার কখনও তা নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَإِذَا فَرَغۡتَ فَٱنصَبۡ ٧ وَإِلَىٰ رَبِّكَ فَٱرۡغَب ٨﴾ [الشرح: ٧، ٨]

“অতএব, আপনি যখনই অবসর পান তখনই কঠোর ইবাদাতে রত হোন, আর আপনার রবের প্রতি গভীর মনোযোগী হোন।” [সূরা আল-ইনশিরাহ, আয়াত: ৭-৮]

আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন,

«إذا سألت فاسأل الله وإذا استعنت فاستعن بالله»

“যখন তুমি চাইবে তখন আল্লাহর কাছে চাইবে। যখন তুমি কোনো সাহায্য প্রার্থনা করবে তখন সে সাহায্য তাঁর

কাছেই একমাত্র চাইবে।”[1]

আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণের একটি অসীয়ত করেছেন যে, তারা যেন মানুষের কাছে কিছু না চায়, আর তাই সাহাবীগণের কারও কারও হাত থেকে লাঠি পড়ে গেলেও কারও কাছে বলতেন না যে, ‘আমাকে এটি উঠিয়ে দাও’। (সহীহ বুখারী ও মুসলিমের) হাদীসে সাব্যস্ত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«يدخل الجنة من أمتي سبعون ألفا بغير حساب، وهم الذين لا يسترقون، ولا يكتوون، ولا يتطيرون، وعلى ربهم يتوكلون»

“আমার উম্মতের মধ্যে বিনা হিসেবে সত্তর হাজার মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারা হলো: যারা ঝাঁড়-ফুক চেয়ে বেড়ায় না, সেঁকা লাগায় না এবং পাখি উড়ায়ে ভাগ্য নির্ণয়ে বিশ্বাস করে না। আর তারা তাদের রবের ওপর ভরসা করে।”[2]

ইসতেরকা হলো: ঝাঁড় ফুক চাওয়া, আর এটি এক প্রকারের চাওয়া বা যাচ্ঞা। এতদসত্বেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে, তিনি বলেন,

«ما من رجل يدعو له أخوه بظهر الغيب دعوة إلا وكل الله بها ملكاً كلما دعا لأخيه دعوة، قال الملك: ولك مثل ذلك»

“তোমাদের কোনো লোকের জন্য তার ভাই যখন তার অনুপস্থিতিতে দো‘আ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করেন, যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য দো‘আ করে, তখনই ফিরিশতা বলে: তোমার জন্যও অনুরূপ হোক।”[3]

আর দো‘আর ক্ষেত্রে অন্যতম শরী‘আতসম্মত পদ্ধতি হলো, অনুপস্থিত ব্যক্তি কর্তৃক অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দো‘আ করা। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর সালাত (দুরূদ) পাঠ করতে এবং আমাদের ওপর তার জন্য (আল্লাহর কাছে) ওসীলা (নামক মর্যাদাটি) প্রাপ্তির দো‘আ করতে আদেশ করেছেন। আর এর মাধ্যমে যে প্রতিদান পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে অবহিতও করেছেন। তিনি বলেছেন,

«إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ يُؤَذِّنُ فَقُولُوا كَمَا يَقُولُ، وَصَلُّوا عَلَىَّ، فَإِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ يُصَلِّى عَلَىَّ صَلاَةً إِلاَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا، وَسَلُوا اللَّهَ لِىَ الْوَسِيلَةَ، فَإِنَّ الْوَسِيلَةَ مَنْزِلَةٌ فِى الْجَنَّةِ، لاَ يَنْبَغِى أَنْ تَكُونَ إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ، وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَهُ، وَمَنْ سَأَلَهَا لِى حَلَّتْ عَلَيْهِ شَفَاعَتِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ».

“যখন তোমরা মুয়াযযিনের আযান শুনতে পাও তখন মুয়াযযিন যা বলে অনুরূপ বলো, অতঃপর আমার ওপর দুরূদ পাঠ করো। কেননা যে কেউ আমার ওপর একবার দুরূদ পড়ে তার ওপর আল্লাহ দশবার দুরূদ পড়েন। আর তোমরা আমার জন্য ওসীলা (নামক মর্যাদাটি) প্রাপ্তির দো‘আ করবে, কারণ তা জান্নাতের এমন এক স্তর যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল একজনের জন্যই থাকা সমীচীন, আর আমি আশা করবো যে, আমিই হবো সে বান্দাটি। সুতরাং যে কেউ আমার জন্য (আল্লাহর কাছে) ওসীলা নামক মর্যাদাটির প্রার্থনা করবে কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার সুপারিশ বৈধতা পাবে”।[4]

আর একজন মুসলিমের জন্য বৈধ হবে দো‘আ চাওয়া। হতে পারে যার কাছে দো‘আ চাওয়া হয়েছে সে তার চেয়ে বড় অথবা ছোট। কারণ, বড়ের কাছ থেকে ছোট ব্যক্তির কাছে দো‘আ করতে বলার বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে উমরা আদায় করতে যাওয়ার সময় বিদায় জানাতে গিয়ে বলেন,

«لَا تَنْسَنَا يَا أُخَيَّ مِنْ دُعَائِكَ»

“হে ভাই, আমাকে তোমার দো‘আয় ভুলো না”[5]। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাদেরকে তার জন্য দুরূদ পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার জন্য ওসীলা (নামক মহান মর্যাদা) লাভের দো‘আ করতে বলেছেন, তখন বলেছেন, যে কেউ তার ওপর একবার সালাত পড়বে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার ওপর দশবার সালাত পড়বে। আর যে ব্যক্তি তার জন্য ওসীলা নামক মহান মর্যাদা প্রাপ্তির জন্য দো‘আ করবে, তার জন্য কিয়ামতের দিন তাঁর সুপারিশ বৈধ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এর দ্বারা বুঝা গেল যে, তাঁর এ চাওয়ার দ্বারা আমাদেরকে উপকৃত করাই উদ্দেশ্য। আর কেউ কোনো কিছু চাওয়া দ্বারা প্রার্থিত ব্যক্তির উপকার করা, আর কোনো কিছু চাওয়া দ্বারা কেবল নিজের উপকার সাধন হওয়া কামনা করা, এ দু’য়ের মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। অনুরূপভাবে সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াইস আল-ক্বারনীর কথা উল্লেখ করে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলেন,

«فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَكَ فَافْعَلْ»

“যদি তাকে তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলতে পারো, তবে বলবে”[6]।

অনুরূপভাবে সহীহ বুখারী ও মুসলিমে এসেছে, আবু বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার মাঝে কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছিল, তখন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বললেন, “আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন”। তবে হাদীসে এসেছে, “আবু বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কোনো বিষয় নিয়ে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর ওপর রাগ করেছিলেন।”

তদ্রূপভাবে হাদীসে সাব্যস্ত হয়েছে যে, “কোনো কোনো সম্প্রদায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ঝাঁড়-ফুক চাইতেন, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ঝাঁড়-ফুক করতেন।”।

তাছাড়া সহীহ বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত আছে যে, মানুষ যখন অনাবৃষ্টিতে পড়ত তখন তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাদের জন্য বৃষ্টির প্রার্থনা করতে বলতেন, অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন ফলে বৃষ্টি হতো।

বুখারী ও মুসলিমে আরো এসেছে “উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর দ্বারা বৃষ্টির প্রার্থনা করতেন, ফলে তিনি দো‘আ করতেন। উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলতেন,

«اللهم إنا كنا إذا أجدبنا نتوسل إليك بنبينا فتسقينا وإنا نتوسل إليك بعم نبينا فاسقنا فيسقون»

“হে আল্লাহ! আমরা যখন অনাবৃষ্টি হতো তখন আপনার নবীর মাধ্যমে দো‘আ করতাম, ফলে আপনি আমাদের বৃষ্টি দিতেন। আর এখন আমরা আপনার নিকট নবীর চাচার দো‘আর মাধ্যমে চাচ্ছি সুতরাং আপনি আমাদের বৃষ্টি দিন, ফলে বৃষ্টি হতো।”[7]

অনুরূপভাবে সুনানের গ্রন্থসমূহে এসেছে, এক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে তাঁকে বলল, আমাদের কষ্ট হচ্ছে, আর পরিবার পরিজন ক্ষুধার্ত রয়েছে এবং মাল ধ্বংস হয়েছে, সুতরাং আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করুন। নিশ্চয় আমরা আপনার কাছে আল্লাহর দ্বারা সুপারিশ করছি এবং আল্লাহর কাছে আপনার দ্বারা সুপারিশ করছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (রাগান্বিতভাবে) তাসবীহ পাঠ (আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা) করলেন এমনকি এ বিষয়টি সাহাবীগণের চেহাবায়ও ফুটে উঠল। তারপর তিনি বললেন,

«ويحك إنه لا يستشفع بالله على أحد، إن الله أعظم من ذلك»

“তোমার জন্য আফসোস হচ্ছে, (তুমি কি জান না যে) আল্লাহ তা‘আলার দ্বারা কোনো সৃষ্টিজীবের কাছে সুপারিশ চাওয়া যায় না? মহান আল্লাহর মর্যাদা তার চেয়ে অনেক মহান।”[8]এ হাদীসে দেখা যায় যে, তিনি তার বক্তব্য “আল্লাহর কাছে আপনার দ্বারা সুপারিশ করছি” এ কথাটির স্বীকৃতি দিলেন, কিন্তু “আমরা আপনার কাছে আল্লাহর দ্বারা সুপারিশ করছি” এ কথাটি অস্বীকার করলেন। কেননা সুপারিশকারী সুপারিশকৃত সত্ত্বার কাছে কোনো কিছু কামনা করে। আর বান্দা তো শুধু আল্লাহর কাছেই চায় এবং তাঁর নিকটই সুপারিশ কামনা করে। আর মহান রব কোনো বান্দার কাছে চায় না এবং তার দ্বারা (কারও কাছে) সুপারিশও কামনা করা যায় না।

>
[1] তিরমিযী, হাদীস নং ২৫১৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং (১/৩০৭ ও ১০/২৯৩, ৩০৩)

[2] সহীহ বুখারী, (৮/১২৪); সহীহ মুসলিম (১/১৯৭)।

[3] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৩২; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ (৬/৪৫২)।

[4] সহীহ বুখারী (১/১৫২); সুনান নাসাঈ (২/২৭); আবু দাউদ, হাদীস নং ৫২৯; মুসনাদে আহমাদ (৩/৩৫৪)।

[5] আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৯৮। শাইখ আলবানী বলেন, হাদীসটি দুর্বল।

[6] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৪২।

[7] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০১০।

[8] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০১২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫০৭।