গুনাহ মাফের উপায় তৃতীয় অধ্যায় : গুনাহ মাফের দু‘আ শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল (রহ.) ১ টি
হাদীসে বর্ণিত গুনাহ মাফের সাথে সম্পৃক্ত কিছু দু‘আ - ১

১. সকল সলাতে তাকবীরে তাহরীমার পর ক্ষমা প্রার্থনার দু‘আ (সানা) :

اَللّٰهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِىْ وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اَللّٰهُمَّ نَقِّنِىْ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ اَللّٰهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা- বা‘আদতা বাইনাল মাশরিকিব ওয়াল মাগরিবি, আল্লা-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিনাল খাত্বা-ইয়া- কামা- ইউনাক্বক্বাস্ সাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ্ দানাস, আল্লা-হুম্মাগসিল খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিলমা-য়ি ওয়াসসালজি ওয়াল বারাদি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি পূর্ব ও পশ্চিম গগণের মধ্যে যেরূপ দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন, আমার ও আমার পাপরাশির মধ্যে তদ্রূপ দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন। হে আল্লাহ! শুভ্র বস্তুকে যেরূপ নির্মল করা হয় আমাকেও গুনাহ থেকে সেরূপ পাক সাফ করুন। হে আল্লাহ! আমার অপরাধ সমূহ পানি, বরফ ও হিমশীলা দ্বারা বিধৌত করে দিন।[1]


২. রাতের সলাত বা তাহাজ্জুদের সলাতে তাকবীরে তাহরীমার পরে পঠনীয় দু‘আ :

وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِى فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَّمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلَاتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِى لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَه وَبِذٰلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اَللّٰهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ. أَنْتَ رَبِّىْ وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِى فَاغْفِرْ لِىْ ذُنُوبِىْ جَمِيعًا إِنَّه لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ وَاهْدِنِىْ لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ لَا يَهْدِىْ لِأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّىْ سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ عَنِّىْ سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّه فِىْ يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ

উচ্চারণ : ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযা হানীফাওঁ ওয়ামা- আনা- মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সলা-তী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ্ইয়া-ইয়া ওয়ামামা-তী লিল্লা-হি রব্বিল ‘আ-লামীন। লা- শারীকা লাহূ ওয়া বিযা-লিকা উমিরতু ওয়াআনা- মিনাল মুসলিমীন। আল্লা-হুম্মা আনতাল মালিকু লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, আনতা রব্বী ওয়াআনা- ‘আবদুকা যলামতু নাফসী ওয়া‘তারাফতু বিযাম্বী ফাগফিরলী যুনূবী জামী‘আন ইন্নাহূ লা-ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আনতা। ওয়াহদিনী লিআহসানিল আখলা-ক্বি লা-ইয়াহদী লি আহসানিহা- ইল্লা- আনতা, ওয়াসরিফ ‘আন্নী সাইয়্যিআহা- লা-ইয়াসরিফু ‘আন্নী সাইয়্যিআহা- ইল্লা- আনতা লাব্বাইকা ওয়া সা‘দাইকা ওয়াল খাইরু কুল্লুহূ ফী ইয়াদাইকা ওয়াশ্ শাররু লাইসা ইলাইকা আনা- বিকা ওয়া ইলাইকা তাবা-রাকতা ওয়া তা‘আ-লাইতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক।

অর্থ : আমি সেই মহান সত্তার দিকে আমার মুখ ফিরাচ্ছি, যিনি আসমান সমূহ ও জমিনকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার সলাত, আমার কুরবানী আমার জীবন ও আমার মরণ আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্য। তাঁর কোন শরীক নেই, আর এজন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি মুসলিমদের অন্তর্গত। আল্লাহ আপনিই বাদশাহ, আপনি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই। আপনি আমার রব্ আর আমি আপনার দাস। আমি আমার নিজের উপর অত্যাচার করেছি এবং আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি। সুতরাং আপনি আমার সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ব্যতীত অন্য কেউ অপরাধসমূহ ক্ষমা করতে পারে না। আপনি আমাকে উত্তম চরিত্রের দিকে চালিত করুন, আপনি ব্যতীত আর কেউ উত্তম চরিত্রের দিকে চালিত করতে পারে না। আমার হ’তে মন্দ আচরণকে আপনি দূরে রাখুন, আপনি ব্যতীত অন্য কেউ তা দূরে রাখাতে পাওে না। হে আল্লাহ! উপস্থিত আছি আপনার নিকটে এবং প্রস্ত্তত আছি আপনার আদেশ পালনে। কল্যাণ সমস্ত আপনার হাতে এবং কোন অকল্যাণ আপনার প্রতি বর্তায় না। আমি আপনার সাহায্যেই প্রতিষ্ঠিত আছি এবং আপনারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করব। আপনি কল্যাণময়, আপনি সুউচ্চ। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার দিকে ফিরছি।[2]

৩.

اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمٰوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ لَكَ مُلْكُ السَّمٰوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ نُورُ السَّمٰوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَقَوْلُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ وَمُحَمَّدٌ ﷺ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اَللّٰهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِىْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَوْ لَا إِلٰهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু আনতা ক্বাইয়িমুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ামান ফীহিন্না, ওয়া লাকাল হাম্‌দু লাকাল মুলকুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ামান ফী হিন্না, ওয়া লাকাল হামদু নূরুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ালাকাল হামদু আনতাল হাক্ক ওয়া‘দুকাল হাক্কু, ওয়ালিক্বা-উকা হাক্কুন, ওয়া ক্বাওলুকা হাক্কুন ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন ওয়ান্না-রু হাক্কুন ওয়ান নাবিইয়ূনা হাক্কুন ওয়া মুহাম্মাদুন সল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম হাক্কুন ওয়াস্ সা-‘আতু হাক্কুন। আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া ‘আলায়কা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইকা আনাবতু ওয়াবিকা খা-সামতু ওয়া ইলায়কা হা-কামতু, ফাগফিরলী মা- ক্বদ্দামতু ওয়ামা- আখখারতু ওয়ামা- আসরারতু ওয়ামা- আ‘লানতু আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা ওয়ালা- ইলা-হা গাইরুকা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনি আসমানসমূহ ও জমিন এবং এদের মাঝে যা কিছু আছে তার রক্ষাকারী। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনিই আসমানসমূহ ও জমিন এবং এদের মাঝে যা কিছু আছে তাদের জ্যোতি। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনিই আসমানসমূহ ও জমিন এবং এদের মাঝে যা আছে তাদের বাদশাহ। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনিই সত্য, আপনার ওয়া‘দা সত্য, আপনার সাক্ষাৎ সত্য, আপনার বাণী সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, নাবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ (সা.) সত্য এবং ক্বিয়ামাত সত্য। ‘হে আল্লাহ! আমি আপনারই নিকট আত্মসমর্পণ করলাম, আপনারই ওপর ভরসা করলাম, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করলাম, আপনার সন্তুষ্টির জন্যই শত্রুতায় লিপ্ত হ’লাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বাপর ও প্রকাশ্য-গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই অগ্র-পশ্চাতের মালিক। আপনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আপনি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই।[3]


৪. সলাতে রুকূর ও সলাতে সাজদার দু‘আ :

سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ

উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা রব্বানা- ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফিরলী।

অর্থ : হে আল্লাহ! হে আমাদের রব! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।

৫. ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, নাবী (সা.) এ দু‘আটি বেশী বেশী পড়তেন।[4]

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ ذَنْبِى كُلَّه دِقَّه وَجِلَّه وَأَوَّلَه وَآخِرَه وَعَلَانِيَتَه وَسِرَّه

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী যামবী কুল্লাহূ ওয়া দিকক্বাহূ ওয়া জুল্লাহূ ওয়া আও্ওয়ালাহূ ওয়া আ-খিরাহূ ওয়া ‘আলা-নিইয়্যাতাহূ ওয়া সিররাহূ।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমার সকল সূক্ষ্ম, বড়, প্রথম, শেষ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ মাফ কর।[5]

৬. দুই সাজদার মধ্যে পঠিত দু‘আ :

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ وَارْحَمْنِىْ وَعَافِنِىْ وَاهْدِنِىْ وَارْزُقْنِىْ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াহদিনী ওয়া‘আ-ফিনী ওয়ার্ যুক্বনী।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে মাফ কর, আমার ওপর রহম কর, আমাকে হিদায়াত দান কর, আমাকে রোগ মুক্ত কর এবং আমাকে রিয্ক্ব দান কর।[6]


৭. সলাতের সালাম ফিরানোর পূর্বে পঠিত দু‘আ :

اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ ظُلْمًا كَثِيرًا وَّلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِىْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِىْ إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরাওঁ ওয়ালা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আন্তা, ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর্ রহীম।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপরে অসংখ্য যুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হ‘তে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার ওপর অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।[7]

৮.

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِه مِنِّىْ أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা- ক্বদ্দামতু ওয়ামা- আখখারতু, ওয়ামা- আসরারতু ওয়ামা- আ‘লানতু, ওয়ামা- আসরাফতু, ওয়ামা- আনতা আ‘লামু বিহী মিন্নী; আনতাল মুক্বদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার পূর্বাপর গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করুন (এবং মাফ করুন ঐসব গুনাহ) যাতে আমি বাড়াবাড়ি করেছি এবং ঐসব গুনাহ যে বিষয়ে আপনি আমার চাইতে বেশী জানেন। আপনি অগ্র-পশ্চাতের মালিক। আপনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।[8]

[1]. সহীহুল বুখারী : ৭৪৪; সহীহ মুসলিম : ১৩৮২।

[2]. সহীহ মুসলিম : ১৮৪৮।

[3]. সহীহুল বুখারী : ১১২০; সহীহ মুসলিম : ১৭৪৪।

[4]. সহীহুল বুখারী : ৮১৭; সহীহ মুসলিম : ১১১৩।

[5]. সহীহ মুসলিম : ১১১২।

[6]. সুনান আবূ দাঊদ : ৮৫০, হাদীসটি হাসান।

[7]. সহীহুল বুখারী : ৮৩৪; সহীহ মুসলিম : ৭০৪৪।

[8]. সহীহুল বুখারী : ৬৩৯৮; সহীহ মুসলিম : ১৮৪৮।