গুনাহ মাফের উপায় দ্বিতীয় অধ্যায় : গুনাহ মাফের উপায় শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল (রহ.) ১ টি
১৫. শির্ক ও পারষ্পরিক শত্রুতা না থাকা অবস্থায় আমল পেশ হওয়া

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :

تُفْتَحُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ فَيُغْفَرُ لِكُلِّ عَبْدٍ لَا يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا إِلَّا رَجُلًا كَانَتْ بَيْنَه” وَبَيْنَ أَخِيهِ شَحْنَاءُ فَيُقَالُ أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتّٰى يَصْطَلِحَا أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتّٰى يَصْطَلِحَا

‘‘প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করা হয়। এরপর এমন সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, যারা আল্লাহর সঙ্গে শরীক স্থাপন করে না। তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই ও তার মধ্যে শক্রতা বিদ্যমান। এরপর বলা হবে, এই দুজনকে আপোষ-রফা করার জন্য অবকাশ দাও, এই দু’জনকে আপোষ-রফা করার জন্য অবকাশ দাও, এই দু’জনকে আপোষ-রফার জন্য অবকাশ দাও।’’[1]

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

تُعْرَضُ أَعْمَالُ النَّاسِ فِى كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّتَيْنِ يَوْمَ الْاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ فَيُغْفَرُ لِكُلِّ عَبْدٍ مُؤْمِنٍ إِلَّا عَبْدًا بَيْنَه وَبَيْنَ أَخِيهِ شَحْنَاءُ فَيُقَالُ اتْرُكُوا - أَوِ ارْكُوا - هَذَيْنِ حَتّٰى يَفِيئَا

‘‘মানুষের ‘আমলনামা সপ্তাহে দু’বার সোমবার ও বৃহস্পতিবার পেশ করা হয়। এরপর প্রত্যেক মু’মিন বান্দাকে ক্ষমা করা হয়। তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই এর সাথে তার শক্রতা আছে। তখন বলা হবে, এই দু’জনকে রেখে দাও অথবা অবকাশ দাও যতক্ষণ না তারা আপোষের দিকে প্রত্যাবর্তন করে।’’[2]

[1]. সহীহ মুসলিম : ৬৭০৯।

[2]. সহীহ মুসলিম : ৬৭১২।