রাহে বেলায়াত দ্বিতীয় অধ্যায় - বেলায়াতের পথে যিকরের সাথে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
ছ. যিকরের জন্য আদব - (২) ওযীফা নষ্ট না করা

প্রত্যেক নির্ধারিত যিকর যথাসময়ে পালন করার চেষ্টা করতে হবে। কোনো অসুবিধার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে পালন সম্ভব না হলে পরবর্তী সময়ে তা আদায় (কাযা) করার চেষ্টা করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে সাহাবীগণ এধরনের নির্ধারিত যিকর, দু‘আ ও তিলাওয়াত পালন করতেন রাত্রে একাকী। তাহাজ্জুদের সালাত ও এসকল যিকর, তিলাওয়াত ও দু‘আয় তাঁরা রাত্রের অধিকাংশ সময়, বিশেষত শেষ রাত ব্যয় করতেন। উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

من نام عن حزبه أو عن شيء منه، فقرأه فيما بين صلاة الفجر وصلاة الظهر كتب له كأنما قرأه من الليل


“যে ব্যক্তি তার নির্ধারিত ওযীফা পালন না করে ঘুমিয়ে পড়বে, সে যদি তা ফজর ও যোহর সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে পড়ে নেয় তাহলে সে যথাসময়ে রাতের বেলায় আদায় করার সাওয়াব পাবে।”[1]


রাসূলুল্লাহর (সা.) নিয়মও তাই ছিল। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ

كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا عَمِلَ عَمَلًا أَثْبَتَهُ وَكَانَ إِذَا نَامَ مِنَ اللَّيْلِ أَوْ مَرِضَ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً

রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনো কোনো আমল করলে তা স্থায়ী করতেন (নিয়মিত পালন করতেন)। তিনি কখনো ঘুম বা অসুস্থতার কারণে রাত্রে তাহাজ্জুদ আদায় করতে না পারলে দিনের বেলায় ১২ রাক’আত সালাত আদায় করতেন।”[2]

[1] সহীহ মুসলিম ১/৫১৫, নং ৭৪৭। দেখুনঃ হাশিয়াতুস সিনিদী ৩/২৫৯, তুহফাতুল আহওয়াযী ৩/১৫০।

[2] সহীহ মুসলিম ১/৫১৫, নং ৭৪৬।