উপরের হাদীসগুলি থেকে আমরা সাধারণভাবে যিকরের গুরুত্ব ও ফযীলত জানতে পারলাম। কোনো মুমিন যেকোনো- ভাবে মুখে, মনে বা কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর স্মরণ করলে উপরের হাদীসগুলিতে বর্ণিত অপরিমেয় ফযীলত লাভ করবেন বলে আমরা আশা করি। যিকরের ফযীলতের উপর আরো অগণিত হাদীস রয়েছে, যেগুলিতে যিকরের বিশেষ বিশেষ শব্দ ও বাক্য উল্লেখ করে সেই বাক্য দ্বারা যিকর করলে মুমিন কিভাবে ও কী পরিমাণ মর্যাদা, রহমত, বরকত ও সাওয়াব অর্জন করবেন তা রাসূলুল্লাহ (সা.) উল্লেখ করেছেন। এ সকল হাদীসগুলিকে আমরা দুই প্রকারে ভাগ করতে পারি। প্রথম প্রকারের হাদীসে সর্বদা বেশি বেশি পালন করার জন্য কিছু যিকর ও তার ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকারের হাদীসে বিশেষ সময়ে পালনের জন্য কিছু যিকরের কথা উল্লেখ করে তার ফলাফল বর্ণনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর হাদীসগুলি আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে সময় নির্ধারিত যিকরের আলোচনার সময় উল্লেখ করব, ইনশাআল্লাহ। সেখানে আমরা দেখব সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা, ফরয সালাতের পর, ঘুমানোর সময়, শেষ রাত্রে ইত্যাদি সময়ে পালনের জন্য বিশেষ বিশেষ যিকর মহানবী (সা.) শিক্ষা দিয়েছেন। সাথে সাথে সেসকল যিকর পালনের ফলে মুমিন জাগতিক, দৈহিক, পারিবারিক, মানসিক, আত্মিক ও পারলৌকিক দিক দিয়ে কিভাবে লাভবান হবেন ও কী মহান মর্যাদা, উন্নতি অর্জন করবেন তার বিবরণ রাসূলুল্লাহ (সা.) বিস্তারিতভাবে উম্মতকে জানিয়েছেন।