উপদেশ ৩০. হজ্জ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ ১ টি

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : تَمَتَّعَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ إلَى الْحَجِّ فَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ. وَبَدَأَ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، فَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْعُمْرَةِ إلَى الْحَجِّ، فَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ أَهْدَى وَمِنْهُمْ مَنْ لَّمْ يُهْدِ، فَلَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ قَالَ لِلنَّاسِ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهْدَى فَإِنَّهُ لا يَحِلُّ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِّنْكُمْ أَهْدَى فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلْيُقَصِّرْ وَلْيَحْلِلْ، ثُمَّ لِيُهِلَّ بِالْحَجِّ وَلْيُهْدِ، فَمَنْ لَّمْ يَجِدْ هَدْياً فَلْيَصُمْ ثَلاثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةً إذَا رَجَعَ إلَى أَهْلِهِ فَطَافَ حِيْنَ قَدِمَ مَكَّةَ وَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ أَوَّلَ شَيْءٍ، ثُمَّ خَبَّ ثَلاثَةَ أَطْوَافٍ وَمَشَى أَرْبَعًا، فََرَكَعَ حِيْنَ قَضَى طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عِنْدَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ فَانْصَرَفَ فَأَتَى الصَّفَا فََطَافَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعَةَ أَطْوَافٍ، ثُمَّ لَمْ يَحِلَّ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى قَضَى حَجَّهُ، وَنَحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ. َأَفَاضَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ، وَفَعَلَ مِثْلَ مَا فَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَاقَ الْهَدْيَ مِنَ النَّاسِ.

আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিদায় হজ্জে তামাত্তু‘ করেছিলেন হজ্জের সাথে ওমরা মিলিয়ে। তিনি যুলহুলায়ফা হতে কুরবানীর পশু সাথে নিলেন এবং প্রথমে তালবিয়া বললেন ওমরার, অতঃপর তালবিয়া বললেন, হজ্জের। সুতরাং লোকেরাও তামাত্তু‘ করল নবী করীম (ছাঃ)-এর সঙ্গে হজ্জের সাথে ওমরা মিলিয়ে। তাদের মধ্যে কেউ কুরবানীর পশু সঙ্গে নিল আর কেউ তা সাথে নিল না। অতঃপর যখন নবী করীম (ছাঃ) মক্কায় পৌঁছলেন, লোকদের বললেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরবানীর পশু সাথে এনেছে, সে যেন হালাল মনে না করে এমন কোন বিষয়কে, যা (এহরামের কারণে) তার প্রতি হারাম হয়ে গিয়েছে, যতক্ষণ না সে স্বীয় হজ্জ সম্পন্ন করে। আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরবানীর পশু সাথে আনেনি, সে যেন বায়তুল্লাহর তওয়াফ ও ছাফা-মারওয়ার সাঈ করে এবং মাথা ছাঁটিয়ে হালাল হয়ে যায়। অতঃপর হজ্জের এহরাম বাঁধে এবং কুরবানীর পশু নেয়। আর যে কুরবানীর পশু নিতে পারবে না, সে যেন তিন ছিয়াম রাখে হজ্জের মওসুমে আর সাত দিন যখন বাড়ীতে ফিরে যাবে।

অতএব রাসূল প্রথমে ওমরার জন্য বায়তুল্লাহর তওয়াফ করলেন, যখন মক্কায় পৌঁছলেন এবং হাজারে আসওয়াদে চুমা দিলেন। তিনি তওয়াফে তিনবার জোরে চললেন আর চারবার স্বাভাবিক হাঁটলেন। যখন তিনি বায়তুল্লাহর তওয়াফ শেষ করলেন মাকামে ইবরাহীমের নিকট দু’রাক‘আত ছালাত পড়লেন এবং সালাম ফিরালেন। অতঃপর রওয়ানা হলেন এবং ছাফা-মারওয়ায় গিয়ে সাতবার ছাফা-মারওয়ার সাঈ করলেন। কিন্তু তৎপর তিনি হালাল করলেন না (এহরামের কারণে) যা তাঁর প্রতি হারাম হয়ে গিয়েছিল, যতক্ষণ না স্বীয় হজ্জ সমাপন করলেন। অর্থাৎ কুরবানীর তারিখে কুরবানী করলেন এবং (মিনা হতে) মক্কায় গিয়ে বায়তুল্লাহর তওয়াফ করলেন। অতঃপর পূর্ণ হালাল হয়ে গেলেন এহরামের কারণে যা তাঁর প্রতি হারাম হয়ে গিয়েছিল তা হতে। আর লোকদের মধ্যে যে কুরবানীর পশু সাথে নিয়েছিল সেও অনুরূপ করল, যা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) করেছিলেন (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, বাংলা মিশকাত হা/২৪৪২)

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ أَقْبَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ مَكَّةَ فَأَقْبَلَ إِلَى الْحَجَرِ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ أَتَى الصَّفَا فَعَلاَهُ حَتَّى يَنْظُرَ إِلَى الْبَيْتِ فَرَفَعَ يَدَيْهِ فَجَعَلَ يَذْكُرُ اللهَ مَا شَاءَ وَيَدْعُو-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মদীনা হতে ওরয়ানা হয়ে মক্কায় পৌঁছলেন, অতঃপর হাজারে আসওয়াদের দিকে অগ্রসর হলেন এবং তাকে চুমা দিলেন, তৎপর বায়তুল্লাহর তওয়াফ করলেন। অতঃপর ছাফার উপর চড়লেন, যাতে তিনি বায়তুল্লাহ দেখতে পান। তৎপর হাত উঠালেন এবং আল্লাহর যিকির ও দো‘আ করতে থাকলেন যা তিনি চাইলেন (আবু দাউদ, বাংলা মিশকাত হা/২৪৬০)

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ السَّائِبِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ (رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ)-

আব্দুল্লাহ ইবনুস সায়েব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মধ্য জায়গায় এরূপ দো‘আ করতে শুনেছি, ‘হে প্রভু! তুমি আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ ও আখিরাতে কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে বাঁচাও’ (আবু দাউদ, বাংলা মিশকাত হা/২৪৬৬)

عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيْعَةَ قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُوْلُ إِنِّيْ لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ مَا تَنْفَعُ وَلاَ تَضُرُّ، وَلَوْلاَ أنَّيْ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبَّلُ مَا قَبَّلْتُكَ-

আবেস ইবনু রবী‘আহ বলেন, আমি ওমর (রাঃ)-কে হাজারে আসওয়াদে চুমা দিতে দেখেছি এবং এ কথা বলতে শুনেছি, আমি নিশ্চিতরূপে জানি যে, তুমি একটা পাথর যা কারো উপকার করতে পারে না, কারো ক্ষতিও করতে পারে না। যদি আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে তোমায় চুমা দিতে না দেখতাম, তবে আমি কখনও তোমাকে চুমা দিতাম না’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বাংলা মিশকাত হা/২৪৭৩)

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعَ رَجُلاً يَقُوْلُ لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ قَالَ مَنْ شُبْرُمَةُ قَالَ أَخٌ لِيْ أَوْ قَرِيْبٌ لِيْ قَالَ حَجَجْتَ عَنْ نَفْسِكَ قَالَ لَا قَالَ حُجَّ عَنْ نَفْسِكَ ثُمَّ حُجَّ عَنْ شُبْرُمَةَ-

ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শুনলেন, এক ব্যক্তি বলছে, আমি শুবরুমার পক্ষ হতে হজ্জের নিয়ত করছি। রাসূল (ছাঃ) বললেন, শুবরুমা কে? সে বলল, আমার এক ভাই অথবা বলল, আমার এক আত্মীয়। তখন রাসূল বললেন, তুমি কি নিজের হজ্জ করেছ? সে বলল, জি না। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তবে তুমি প্রথমে নিজের হজ্জ কর, পরে শুবরুমার হজ্জ করবে’ (আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, বাংলা মিশকাত হা/২৪১৪)