উপদেশ ২১. সালাম আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ ১ টি

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا لَا تَدْخُلُوْا بُيُوْتًا غَيْرَ بُيُوْتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوْا وَتُسَلِّمُوْا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ.

হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারো গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে এবং তাদেরকে সালাম না করে প্রবেশ কর না; এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, সম্ভবত তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে (নূর ২৭)

وَإِذَا حُيِّيتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوْا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوْهَا إِنَّ اللهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَسِيْبًا.

আর যখন তোমরা সালাম ও অভিবাদন প্রাপ্ত হও, তবে তোমরাও তা হ’তে শ্রেষ্ঠতর উত্তম সম্ভাষণ কর অথবা ওটাই প্রত্যার্পণ কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী (নিসা ৮৬)

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو: أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ الْإِسْلَامِ خَيْرٌ؟ قَالَ: تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلَامَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ.

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ) কে জিজ্ঞাসা করল, কোন ইসলাম (তার কোন কাজ) উত্তম! তিনি বললেন, (অভুক্তকে) খানা খাওয়ান এবং যাকে চিন এবং যাকে চিন না সবাইকে সালাম করা (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬২৯)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لِلْمُؤْمِنِ عَلَى الْمُؤْمِنِ سِتُّ خِصَالٍ: يَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَشْهَدُهُ إِذَا مَاتَ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَنْصَحُ لَهُ إِذَا غَابَ أَوْ شَهِدَ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের ছয়টি হক। যথা- যখন সে রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার সেবা-শুশ্রুষা করবে। সে মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযা ও দাফন-কাফনে উপস্থিত থাকবে। দাওয়াত করলে তা গ্রহণ করবে। সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম দেবে। হাঁচি দিলে (يرحمك الله বলে) তার জওয়াব দেবে এবং উপস্থিত বা অনুপস্থিত উভয় অবস্থায় তার জন্য কল্যাণ কামনা করবে (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৬৩০)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَوْ لَا أَدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوْهُ تَحَابَبْتُمْ؟ أَفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ.

আবু হুরায়রা রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা ঈমান গ্রহণ করবে। আর তোমরা ঈমানদার হ’তে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন কথা বলে দিব না যা করলে তোমাদের পারস্পরিক ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে? (অবশ্যই বলব তাহ’ল) তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের প্রচলন করবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩১)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي وَالْمَاشِي عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আরোহী ব্যক্তি পদব্রজে চলাচলকারীকে এবং পদব্রজে চলাচলকারী উপবিষ্ট ব্যক্তিকে। আর কমসংখ্যক অধিকসংখ্যককে সালাম করবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩২)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُسَلِّمُ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ وَالْمَارُّ عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ»

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কম বয়সী বয়োজ্যেষ্ঠকে, পথ অতিক্রমকারী উপবিষ্টকে এবং কমসংখ্যক অধিক সংখ্যককে সালাম প্রদান করবে (বুখারী, মিশকাত হা/৪৬৩৩)

عَن أَنَسٍ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى غِلْمَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ.

আনাস (রাঃ) বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ) কতিপয় বালকের নিকট দিয়ে গমন করলেন এবং তাদেরকে সালাম করলেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৪)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: لَا تَبْدَؤُوْا الْيَهُوْدَ وَلَا النَّصَارَى بِالسَّلَامِ وَإِذَا لَقِيتُمْ أَحَدَهُمْ فِي طَرِيْقٍ فَاضْطَرُّوهُ إِلَى أضيَقِه.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা ইহুদী-নাছারাদেরকে আগে সালাম দিবে না এবং রাস্তায় চলার পথে যখন তাদের কারো সাথে তোমাদের সাক্ষাৎ হয়, তখন তাদেরকে রাস্তার সংকীর্ণ পাশ দিয়ে যেতে বাধ্য করবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৫)

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمُ الْيَهُودُ فَإِنَّمَا يَقُولُ أَحَدُهُمْ: السَّامُ عَلَيْكَ. فَقُلْ: وَعَلَيْكَ.

আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ইহুদীরা যখন তোমাদেরকে সালাম করে তখন তারা বলে ‘আসসামু আলাইকা’। সুতরাং জওয়াবে তুমি বলবে ‘ওয়া আলাইকা’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৬)

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَقُوْلُوا: وَعَلَيْكُمْ.

আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন আহলে কিতাব তোমাদেরকে সালাম করে, তখন তোমরা (জবাবে) ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৭)

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: اِسْتَأْذَنَ رَهْطٌ مِنَ الْيَهُودِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكُمْ. فَقُلْتُ: بَلْ عَلَيْكُمُ السَّامُ وَاللَّعْنَةُ. فَقَالَ: يَا عَائِشَةُ إِنَّ اللهَ رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الْأَمْرِ كُلِّهِ، قُلْتُ: أَوَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالُوا؟ قَالَ: قَدْ قُلْتُ وَعَلَيْكُمْ.

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা একদল ইহুদী নবী (ছাঃ) এর কাছে আসতে অনুমতি চাইল এবং বলল, ‘আসসামু আলাইকুম’। তখন আমি (আয়েশা) জওয়াবে বললাম, ‘বাল আলাইকুমুস সাম ওয়াল্লানাত’। (অর্থ, বরং তোমাদেরই শীঘ্র মৃত্যু হোক এবং আল্লাহর অভিশাপ তোমাদের উপর বর্ষিত হোক। তখন নবী (ছাঃ) বললেন, হে আয়েশা! আল্লাহ সহনশীল, তিনি প্রত্যেক কাজে সহনশীলতাকেই পছন্দ করেন। তখন আমি বললাম, আপনি শুনেননি তারা কি বলেছিল? তিনি বললেন, আমিও তো তাদের জওয়াবে ‘ওয়া আলাইকুম’ বলেছি (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৮)

عَن أُسامة بن زيد: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِمَجْلِسٍ فِيهِ أَخْلَاطٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُشْرِكِينَ عَبَدَةِ الْأَوْثَانِ وَالْيَهُودِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ.

উসামা ইবনু যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এমন এক সমাবেশের নিকট দিয়ে গমন করলেন যেখানে মুসলমান ও মুশরিক তথা পৌত্তলিক ও ইহুদী সম্প্রদায়ের লোক ছিল তিনি তাদেরকে সালাম করলেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৯)