দশম দিবসের ফযীলত :

১. এই দিন ‘ইয়াওমুল হাজ্জিল আকবার’ অর্থাৎ মহান হজের দিন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَأَذَٰنٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلنَّاسِ يَوۡمَ ٱلۡحَجِّ ٱلۡأَكۡبَرِ أَنَّ ٱللَّهَ بَرِيٓءٞ مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ وَرَسُولُهُۥۚ﴾ [التوبة: ٣]

‘আর মহান হজের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরিকদের থেকে দায়িত্বমুক্ত এবং তাঁর রাসূলও।’[1]

ইবন উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন বলেন,

«أَىُّ يَوْمٍ هَذَا، قَالُوا يَوْمُ النَّحْرِ. قَالَ هَذَا يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ».

‘এটা কোন দিন?’ তারা বলল, ‘কুরবানীর দিন।’ তিনি বললেন, ‘এটা বড় হজের দিন।’[2] কেননা এই দিনে হজের চারটি মৌলিক কাজ সম্পন্ন করতে হয়। কাজগুলো হলো, বড় জামরায় পাথর মারা; কুরবানী করা, হলক বা কসর করা এবং বায়তুল্লাহ্‌র ফরয তাওয়াফ করা।

২. এই দিন বছরের সবচে’ বড় তথা মহৎ দিন। আবদুল্লাহ ইবন কুর্ত রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

«إِنَّ أَعْظَمَ الأَيَّامِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمُ النَّحْرِ ثُمَّ يَوْمُ الْقَرِّ»

‘আল্লাহ তা‘আলার নিকট সবচে’ বড় দিন হল কুরবানীর দিন তারপর এগারো তারিখের দিন।’[3]

কেননা এই দিনে সালাত ও কুরবানী একত্রিত হয়েছে। এ দু’টি আমল সালাত ও সদকার চেয়ে উত্তম। এ-কারণে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই বলে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমি তোমাকে কাওসার[4] দান করেছি, তাই তুমি তোমার রবের সন্তুষ্টি লাভের জন্য শুকরিয়া স্বরূপ সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর।[5]

[1]. সূরা আত-তাওবা : ৩।

[2]. আবূ দাঊদ : ১৯৪৫

[3]. আবূ দাউদ : ১৭৬৫; মুসনাদে আহমদ : ১৯০৯৮।

[4]. অনেক কল্যাণ ও জান্নাতের বিশেষ র্ঝণাধারা। (আদওয়াউল বায়ান তাফসীর গ্রন্থে সূরা কাউসারের ব্যাখ্যা)।

[5]. লাতাইফুল মা‘আরিফ : ২৮২-২৮৩।