হারাম ও কবিরা গুনাহ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি
১৬৭. কুকুরের বিক্রিমূল্য, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচারলব্ধ পয়সা অথবা গণকের গণনালব্ধ পয়সা গ্রহণ করা

কুকুরের বিক্রিমূল্য, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচারলব্ধ পয়সা অথবা গণকের গণনালব্ধ পয়সা গ্রহণ করা হারাম।

আবূ মাসউদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَمَهْرِ الْبَغِيِّ وَحُلْوَانِ الْكَاهِنِ.

‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন কুকুরের বিক্রিমূল্য, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচারলব্ধ পয়সা এবং গণকের গণনালব্ধ পয়সা গ্রহণ করতে’’। (মুসলিম ১৫৬৭)

রা’ফি’ বিন্ খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

ثَمَنُ الْكَلْبِ خَبِيْثٌ، وَمَهْرُ الْبَغِيِّ خَبِيْثٌ، وَكَسْبُ الْحَجَّامِ خَبِيْثٌ.

‘‘কুকুরের বিক্রিলব্ধ পয়সা নিকৃষ্ট, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচারলব্ধ পয়সা এবং কারোর শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করে উপার্জিত পয়সা নিকৃষ্ট’’। (মুসলিম ১৫৬৮)

তবে পরবর্তীতে কারোর শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করে উপার্জিত পয়সাগুলো হালাল করে দেয়া হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা জনৈক দূষিত রক্ত বেরকারী গোলামকে তাঁর দূষিত রক্ত বের করার কাজ শেষে উক্ত কর্মের পয়সাগুলো দিয়ে দেন এবং তার জন্য টেক্স কমানোর সুপারিশ করেন।

‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

حَجَمَ النَّبِيَّ عَبْدٌ لِبَنِيْ بَيَاضَةَ، فَأَعْطَاهُ النَّبِيُّ أَجْرَهُ، وَكَلَّمَ سَيِّدَهُ فَخَفَّفَ عَنْهُ مِنْ ضَرِيْبَتِهِ، وَلَوْ كَانَ سُحْتًا لَمْ يُعْطِهِ النَّبِيُّ .

‘‘একদা বানী বায়াযা গোত্রের জনৈক গোলাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূষিত রক্ত বের করে দিলে তিনি তাকে তার প্রাপ্য দিয়ে দেন এবং তার মালিকের সাথে কথা বলে তার টেক্স কমিয়ে দেন। যদি দূষিত রক্ত বেরকারীর উক্ত পয়সাগুলো হারাম হতো তা হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তা দিতেন না’’। (মুসলিম ১২০২)