হারাম ও কবিরা গুনাহ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি
৯৯. কারোর জন্য অন্যের কাছে কোন ব্যাপারে সুপারিশ করে তার থেকে কোন উপঢৌকন গ্রহণ করা

কারোর জন্য অন্যের কাছে কোন ব্যাপারে সুপারিশ করে তার থেকে কোন উপঢৌকন গ্রহণ করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।

আবূ উমামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

مَنْ شَفَعَ لِأَخِيْهِ بِشَفَاعَةٍ فَأَهْدَي لَهُ هَدِيَّةً عَلَيْهَا، فَقَبِلَهَا مِنْهُ، فَقَدْ أَتَى بَابًا عَظِيْمًا مِنْ أَبْوَابِ الرِّبَا.

‘‘কেউ নিজ কোন মুসলিম ভাইয়ের জন্য অন্যের নিকট কোন ব্যাপারে সুপারিশ করলে সে যদি তাকে এ জন্য কোন উপঢৌকন দেয় এবং উক্ত ব্যক্তি তা গ্রহণ করে তা হলে সে যেন সুদের এক বিরাট দরোজায় ঢুকে পড়লো’’। (আবূ দাউদ ৩৫৪১)

বর্তমান যুগে তো এমন অনেক লোকই পাওয়া যায় যার আয়ের অধিকাংশই এ জাতীয়। তার অবশ্যই এ কথা জানা দরকার যে, তার এ সকল সম্পদ একেবারেই হারাম। ব্যাপারটি আরো জটিল হয়ে দাঁড়ায় যখন এ জাতীয় উপঢৌকন অবৈধ কোন সুপারিশের জন্য হয়ে থাকে।

সুপারিশের মাধ্যমে কেউ কারোর বৈধ কোন উপকার করতে পারলে সে যেন তা করে। কারণ, তা সত্যিই পুণ্যের কাজ। কারণ, মানুষের মাঝে কারোর সম্মানজনক অবস্থান তা তো একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলারই দান। অতএব সে জন্য আল্লাহ্ তা‘আলার কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হবে। আর তা হচ্ছে কোন মুসলামান ভাইয়ের জন্য বৈধ সুপারিশের মাধ্যমে। যাতে তার কোন বৈধ অধিকার আদায় হয়ে যায় অথবা কোন হৃত অধিকার উদ্ধার পায়।

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَّنْفَعَ أَخَاهُ فَلْيَنْفَعْهُ.

‘‘তোমাদের কেউ নিজ কোন মুসলিম ভাইয়ের উপকার করতে পারলে সে যেন তা করে’’। (মুসলিম ২১৯৯)

আবূ মূসা আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোন ভিক্ষুক আসলে অথবা তাঁর নিকট কোন কিছু চাওয়া হলে তিনি বলতেন:

اشْفَعُوْا تُؤْجَرُوْا، وَيَقْضِيْ اللهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ  مَا شَاءَ.

‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা তো তাঁর নবীর মুখ দিয়ে যাই চান ফায়সালা করবেনই। এতদ্সত্ত্বেও তোমরা এর জন্য সুপারিশ করো; তোমাদেরকে সে জন্য সাওয়াব দেয়া হবে’’। (বুখারী ১৪৩২; মুসলিম ২৬২৭)

তবে কারোর জন্য সুপারিশ করতে গিয়ে অন্যের অধিকার খর্ব করা যাবে না। অন্যথায় এক জনের সুবিধার জন্য অন্যের উপর যুলুম করা হবে। আর তখনই অন্যের সুবিধার জন্য নিজকেই অযথা গুনাহ্’র বোঝা বহন করতে হবে।

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«مَنْ يَّشْفَعْ شَفَاعَةً حَسَنَةً يَّكُنْ لَهُ نَصِيْبٌ مِنْهَا، وَمَنْ يَّشْفَعْ شَفَاعَةً سَيِّئَةً يَّكُنْ لَهُ كِفْلٌ مِّنْهَا، وَكَانَ اللهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ مُّقِيْتًا»

‘‘কেউ কারোর জন্য ভালো সুপারিশ করলে সে তার (সাওয়াবের) কিয়দংশ পাবে। আর কেউ কারোর জন্য খারাপ সুপারিশ করলে সেও তার (গুনাহ্’র) কিয়দংশ পাবে। আল্লাহ্ তা‘আলা সকল বস্ত্তর রক্ষণাবেক্ষণকারী’’। (নিসা’ : ৮৫)