আর-রাহীকুল মাখতূম মুতাহ যুদ্ধ (مَعْرِكَة مُؤْتَة) আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী (রহঃ) ১ টি

মুতাহ হচ্ছে উরদুন অঞ্চলে ‘বালক্বা’ নামক স্থানের নিকটবর্তী একটি জনপদের নাম। সেখান হতে বায়তুল মুক্বাদ্দাস দু’ মনজিল ভ্রমণ পথের দূরত্বে অবস্থিত। আলোচ্য যুদ্ধ এ স্থানে সংঘটিত হয়েছিল।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় মুসলিমগণের সামনে এটাই ছিল সব চাইতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং এ যুদ্ধ ছিল পরবর্তী পর্যায়ের খ্রিষ্টান দেশসমূহ বিজয়ের পূর্ব সূত্র। এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ৮ম হিজরীর জুমাদাল উলা মোতাবেক ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট কিংবা সেপ্টেম্বর মাসে।

এ যুদ্ধের কারণ ছিল, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) হারিস বিন উমায়ের আযদী (রাঃ)-কে একটি পত্রসহ বুসরার শাসকের নিকট প্রেরণ করেন এবং তদানীন্তন রোম সম্রাটের গর্ভণর শোরাহবিল বিন ‘আমর গাসসানী যিনি ‘বালক্বা’ নামক স্থানে নিযুক্ত ছিলেন তিনি হারিস (রাঃ)-কে বন্দী করার পর শক্ত করে বেঁধে হত্যা করে।

প্রকাশ থাকে যে, রাষ্ট্রীয় দূত এবং সংবাদ বাহকদের হত্যা করার ব্যাপারটি সব চাইতে নিকৃষ্ট কাজ এবং জঘন্যতম অপরাধ। এ ধরণের কাজ ছিল যুদ্ধ ঘোষণার শামিল, বরং বলা যায় যে, তার চাইতেও ভয়ংকর। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন এ সংবাদ অবগত হলেন তখন তাঁর সামনে অনভিপ্রেত এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে গেল। মুসলিমগণের পক্ষে যুদ্ধ করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা রইল না। এ উদ্দেশ্যে ৩০০০ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী তিনি প্রস্তুত করে নিলেন।[1] এবং এটাই ছিল সব চাইতে বড় ইসলামী যোদ্ধা বাহিনী। এর পূর্বে আহযাব যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোন যুদ্ধে মুসলিমগণের এত বড় বাহিনী সংগঠিত হয় নি।

[1] যাদুল মা‘আদ ২য় খন্ড ১৫৫ পৃঃ, ফাতহুলবারী ৭ম খন্ড ৫১১ পৃঃ।