যুবাইর দূর্গের যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর ইহুদীগণ উবাই দূর্গে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। মুসলিমগণ এ দূর্গেও অবরোধ সৃষ্টি করেন। এ দূর্গের দুজন বীর ও পরিশ্রমী ইহুদী যোদ্ধা দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহবান দিয়ে একের পর এক ময়দানে অবতরণ করে। এরা দু জনেই মুসলিম বীরদের হাতে নিহত হয়। দ্বিতীয় ইহুদীর হত্যাকারী ছিলেন লাল পট্টিধারী বিখ্যাত তেজস্বী বীর আবূ দোজানা সাম্মাক বিন খারশাহ আনসারী (রাঃ)। দ্বিতীয় ইহুদীকে হত্যা করার পর তিনি অত্যন্ত ক্ষিপ্র গতিতে দূর্গের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। তার সঙ্গে ইসলামী সৈন্যগণও দূর্গের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। দূর্গের অভ্যন্তরে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড সংঘর্ষ বেধে যায় এবং বেশ কিছুক্ষণ ধরে তা চলতে থাকে। কিন্তু ইহুদীগণ মুসলিম বীরদের আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে দূর্গ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে নিযার দূর্গে আশ্রয় গ্রহণ করে। সেটি ছিল প্রথম অঞ্চলের শেষ দূর্গ।