ইস্তিখারার জন্য সহীহ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওযু করে দুই রাক‘আত সালাত আদায় করে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি ‘ইলমিকা...’ দোয়াটি পাঠ করতে হবে।[1] কিন্তু আমাদের দেশে প্রচলিত কোনো কোনো গ্রন্থে এ বিষয়ে বিভিন্ন বানোয়াট পদ্ধতি ও দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে। একটি বানোয়াট পদ্ধতি নিম্নরূপ: ‘কোনো জিনিসের ভাল মন্দ জানিতে হইলে এশার নামাজের পর এস্তেখারার নিয়তে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়িয়া নিয়া পরে কয়েক মর্তবা দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া ‘ছুবহানাক লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা ...’ ১০০ বার পাঠ করিয়া আবার ২১ বার দরূদ শরীফ পাঠ করিয়া পাক ছাপ বিছানায় শুইয়া থাকিবে...।[2]

অন্য পুস্তকে বলা হয়েছে: ‘‘হযরত আলী (কার্রা) বলিয়াছেন যে, স্বপ্নে কোন বিষয়ের ভালমন্দ জানিতে হইলে নিম্নোক্ত নিয়মে রাত্রে শয়ন করিবার পূর্বে দুই রাকাত করিয়া ছয় রাকাত নামায পড়িবে। প্রথম রাকতে সূরা ফাতেহার পরে সূরা ওয়াশ্শামছে ৭ বার ....।’’[3] এটিও ভিত্তিহীন কথা।

[1] বুখারী, আস-সহীহ ১/৩৯১, ৫/২৩৪৫, ৬/২৬৯০; ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ১১/১৮৩।

[2] মো. বসির উদ্দীন আহমদ, নেক আমল, পৃ. ১৬৮।

[3] মো. শামছুল হুদা, নেয়ামুল কোর্আন, পৃ. ২০২-২০৩।