فِيْ لَيْلَةٍ مِنَ اللَّيَالِيْ سَقَطَتْ مِنْ يَدِ عَائِشَةَ إِبْرَتُهَا فَفُقِدَتْ فَالْتَمَسَتْهَا وَلَمْ تَجِدْ فَضَحِكَ النَّبِيُّ ﷺ وَخَرَجَتْ لُمْعَةُ أَسْنَانِهِ فَأَضَاءَتِ الْحُجْرَةَ وَرَأَتْ عَائِشَةُ بِذَلِكَ الضَّوْءِ إِبْرَتَهَا
‘‘এক রাতে আয়েশা (রা)-এর হাত থেকে তাঁর সূচটি পড়ে যায়। তিনি তা হারিয়ে ফেলেন এবং খোঁজ করেও পান নি। তখন নবীজী (ﷺ) হেসে উঠেন এবং তাঁর দাঁতের আলোকরশ্মি বেরিয়ে পড়ে। এতে ঘর আলোকিত হয়ে যায় এবং সে আলোয় আয়েশা (রা) তাঁর সূচটি দেখতে পান।’’
এটি একটি সনদবিহীন ভিত্তিহীন মিথ্যা কাহিনী। আমরা দেখেছি যে, অনেক আলিম সহীহ কথার সাথে অনেক বাতিল কথাও সংকলন করেন। এতে অনেক সময় সাধারণ মুসলিম বিভ্রান্ত হন। যেমন দশম হিজরী শতকের একজন আলিম মোল্লা মিসকীন মুহাম্মাদ আল-ফিরাহী (৯৫৪ হি) কর্তৃক ফার্সী ভাষায় লিখিত ‘মা‘আরিজুন নুবুওয়াত’ নামক সীরাতুন্নবী বিষয়ক একটি গ্রন্থ এক সময় ভারতে প্রসিদ্ধ ছিল। এ গ্রন্থে উপরের মিথ্যা হাদীসটি সংকলিত রয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আল্লামা লাখনবী বলেন: ‘‘এ কথা ঠিক যে, এ জাল কথাটি ‘মা‘আরিজুন নুবুওয়াত’ ও আরো অন্যান্য সীরাতুন্নবী গ্রন্থে সংকলিত। এ সকল গ্রন্থের লেখকগণ শুকনো-ভিজে সবকিছুই জমা করতেন। কাজেই এ সকল বইয়ের সব কথার উপরে শুধু ঘুমন্ত বা ক্লান্ত (অজ্ঞ বা অসচেতন) মানুষেরাই নির্ভর করতে পারে। ...’’[1]