হাদীসের নামে জালিয়াতি ২. মিথ্যা ও ওহীর নামে মিথ্যা ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
২. ৬. ২. মাউযূ হাদীস উল্লেখ বা প্রচারও কঠিনতম হারাম

ইমাম নাবাবী আরো বলেন: জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করাও হারাম, তা যে অর্থেই হোক না কেন। তবে মিথ্যা হাদীসকে মিথ্যা হিসাবে জানানোর জন্য তার বর্ণনা জায়েয।[1]

অন্যত্র তিনি বলেন: যদি কেউ জানতে পারেন যে, হাদীসটি মাউযূ অর্থাৎ মিথ্যা বা জাল, অথবা তার মনে জোরালো ধারণা হয় যে, হাদীসটি জাল তাহলে তা বর্ণনা করা তার জন্য হারাম। যদি কেউ জানতে পারেন অথবা ধারণা করেন যে, হাদীসটি মিথ্যা এবং তারপরও তিনি সে হাদীসটি বর্ণনা করেন, কিন্তু হাদীসটির বানোয়াট হওয়ার বিষয় উল্লেখ না করেন, তবে তিনিও হাদীস বানোয়াটকারী বলে গণ্য হবেন এবং এ সকল হাদীসে উল্লিখিত ভয়ানক শাস্তির অন্তর্ভুক্ত হবেন।[2]

ইমাম যাইনুদ্দীন আব্দুর রাহীম ইবনুল হুসাইন আল-ইরাকী (৮০৬ হি) বলেন: মাউযূ বা জাল হাদীস যে বিষয়ে বা যে অর্থেই হোক্, তা বলা হারাম। আহকাম, গল্প-কাহিনী, ফযীলত, নেককর্মে উৎসাহ, পাপ থেকে ভীতি প্রদর্শন বা অন্য যে কোনো বিষয়েই হোক না কেন, যে ব্যক্তি তাকে মাউযূ বলে জানতে পারবে তার জন্য তা বর্ণনা করা, প্রচার করা, তার দ্বারা দলীল দেয়া বা তার দ্বারা ওয়ায করা জায়েয নয়। তবে হাদীসটি যে জাল ও বানোয়াট সেকথা উল্লেখ করে তা বলা যায়।[3]

[1] নাবাবী, তাকরীব, তাদরীবুর রাবী সহ ১/২৭৪।
[2] নাবাবী, শারহু সহীহ মুসলিম ১/৭১।
[3] ইরাকী, ফাতহুল মুগীস, পৃ: ১২০-১২১।