ঈদের নামাযের সময় চাশ্তের নামাযের সময়ের মত। যেহেতু আব্দুল্লাহ বিন বুস্র (রাঃ) লোকেদের সাথে ঈদুল ফিত্র অথবা ঈদুল আযহার দিনে ঈদগাহে বের হলেন। ইমাম সাহেবের উপস্থিত হতে দেরী দেখে আপত্তি জানিয়ে বললেন, ‘আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে এতক্ষণ নামায থেকে ফারেগ হয়ে যেতাম।’ আর সে সময়টি ছিল চাশ্তের সময়।[1]

আর চাশ্তের নামাযের সময় শুরু হয় সূর্য যখন দর্শকের চোখে এক বর্শা (এক মিটার) পরিমাণ উপরে ওঠে। অর্থাৎ সূর্য ওঠার মোটামুটি ১৫ মিনিট পরে এই নামায পড়া হয়।[2]

ইবনে বাত্ত্বাল বলেন, ফকীহগণ এ বিষয়ে একমত যে, ঈদের নামায সূর্য উদয় হওয়ার পূর্বে এবং উদয় হওয়ার সময়ে পড়া যাবে না। বরং যখন নফল নামায পড়া বৈধ হয়, তখনই তা পড়া বৈধ।[3] অর্থাৎ নিষিদ্ধ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরই ঈদের নামায পড়া চলে।

অবশ্য উলামাগণ ঈদুল আযহার নামাযকে সকাল সকাল এবং ঈদুল ফিত্বরের নামাযকে একটু দেরী করে পড়া উত্তম মনে করেছেন। কারণ, প্রত্যেক ঈদের ভিন্ন ভিন্ন ব্যস্তকারী কর্ম রয়েছে। ঈদুল আযহার কর্ম হল কুরবানী; আর তার সময় হল নামাযের পর। পক্ষান্তরে ঈদুল ফিতরের কর্ম হল ফিতরা বণ্টন; আর তার সময় হল নামাযের আগে। এ ব্যাপারে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক হাদীস বর্ণিত থাকলেও তা সহীহ নয়।[4]

[1] (বুখারী বিনা সনদে প্রত্যয়ের সাথে ১৯১পৃঃ, আবূ দাঊদ ১১৩৫, ইবনে মাজাহ ১৩১৭, হাকেম, মুস্তাদ্রাক ১/২৯৫, বাইহাকী ৩/২৮২)

[2] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/১২২)

[3] (ফাতহুল বারী ২/৫৩০)

[4] (ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/১০১, তামামুল মিন্নাহ, আল্লামা আলবানী ৩৪৭পৃঃ দ্রঃ)