তারাবীহর নামাযের জামাআত চলাকালে কেউ এশার নামায না পড়া অবস্থায় মসজিদে এলে তার জন্য একাকী বা পৃথক জামাআত করে এশার নামায পড়া বৈধ নয়। বরং তার উচিৎ হল, এশার নিয়তে জামাআতে শামিল হওয়া। অতঃপর ইমাম সালাম ফিরে দিলে এশার বাকী নামায একাকী পড়ে নেওয়া। তারপর এশার পর ২ রাকআত সুন্নাতে মুআক্কাদার নিয়তে ইমামের সাথে ২ রাকআত পড়া। তারপর তারাবীহর নিয়তে বাকী নামায পড়া।

এ ক্ষেত্রে ইমাম-মুক্তাদীর নিয়ত ভিন্ন হলেও কোন ক্ষতি নেই। যেহেতু নফল নামাযীর পশ্চাতে ফরয নামায পড়া বৈধ।[1] সাহাবী মুআয বিন জাবাল (রাঃ) মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে এশার নামায পড়তেন। অতঃপর তিনি ফিরে গিয়ে নিজের জামাআতের (ঐ নামাযেরই) ইমামতি করতেন।[2] ফরয পড়ে নেওয়ার পর মুআযের সে নামায ছিল নফল। পরন্তু আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাঁর এ কাজে কোন আপত্তি প্রকাশ করেননি। অতএব বুঝা গেল যে, নফল নামাযীর পশ্চাতে ফরয নামায পড়া বৈধ।

এ ছাড়া স্বালাতে খাওফে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) একদলকে নিয়ে ২ রাকআত নামায পড়ে সালাম ফিরেছেন। অতঃপর আর একদলকে নিয়ে তিনি ২ রাকআত নামায পড়ে সালাম ফিরেছেন।[3] উভয় নামাযের মধ্যে তাঁর প্রথম নামাযটি ছিল ফরয এবং দ্বিতীয়টি নফল; আর তাঁর পশ্চাতের লোকদের সে নামায ছিল ফরয।

[1] (সালাতুল-লাইলি অত্-তারাবীহ, ইবনে বায ৪৪-৪৫পৃঃ, আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/৯১)

[2] (বুখারী ৭০০, মুসলিম ৪৬৫, বাইহাকী ৩/৮৬, দারাকুত্বনী, সুনান ১০৬২নং)

[3] (সহীহ আবূ দাঊদ ১১১২নং)