উত্তম ও দলীলের অধিক নিকটবর্তী কাজ হল ‘আল্লাহুম্মাহদিনা ফীমান হাদাইতা’ বলে কুনূতের দুআ শুরু করা। অবশ্য যদি কেউ দুআ করার মৌলিক নীতির উপর আমল করে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর উপর দরূদ পড়ার মাধ্যমে কুনূত শুরু করে, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই।

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক বর্ণিত দুআ-এ মাষূরা ছাড়াও যদি কেউ নিজের তরফ থেকে অন্য দুআ কুনূতে পড়তে চায়, তাহলে তা দোষাবহ নয়। কারণ, এ স্থল হল দুআ করার স্থল। তা ছাড়া এ কুনূত হল এক প্রকার ‘কুনূতে নাযেলাহ’। আর এই কুনূতে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কাফেরদের জন্য বদ্দুআ এবং মুসলিমদের জন্য দুআ করেছেন।[1] অনুরূপ আবূ হুরাইরা (রাঃ) কুনূতে মুমিনদের জন্য দুআ করতেন এবং কাফেরদের উপর অভিশাপ দিতেন।[2] আ’রাজ বলেন, ‘আমাদের দেখা সকল লোকেই রমাযানে কাফেরদের প্রতি অভিশাপ করত।’[3] বলা বাহুল্য, এ ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট দুআ নেই। অতএব বুঝা গেল যে, এ ব্যাপারে কোন সংকীর্ণতা নেই। এতদ্ব্যতীত যদি ধরে নেওয়া যায় যে, কোন মানুষ দুআ-এ মাষূর জানে না, তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির যা জানা আছে এবং যা উপযুক্ত মনে করে নিজের প্রয়োজন অনুপাতে তাই দিয়ে দুআ করতে পারে; যদি আসলে দুআ সহীহ দুআ হয় তাহলে। অবশ্য দুআ-এ মাষূর ব্যবহারে যত্নবান হওয়াই উত্তম আমল।[4]

[1] (বুখারী ১০০৬নং দ্রঃ)

[2] (বুখারী ৭৯৭, মুসলিম ৬৭৬নং)

[3] (মালেক ২৫১নং)

[4] (আশ্শারহুল মুমতে’, ইবনে উষাইমীন ৪/৫২, সালাতুল-লাইলি অত্-তারাবীহ, ইবনে বায ৩৯-৪০পৃঃ)