তিনি রমযান মাসে ভ্রমণ করেছেন। সফর অবস্থায় তিনি কখনও সিয়াম রেখেছেন আবার কখনও সিয়াম ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি সাহাবীদেরকে সফর অবস্থায় উভয়টির যে কোন একটি গ্রহণ করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। শত্রুদের নিকটবর্তী হলে মুজাহিদদেরকে সিয়াম ছেড়ে দেয়ার আদেশ দিতেন।[1] কতটুকু রাস্তা ভ্রমণ করলে মুসাফিরের জন্য সিয়াম ভঙ্গ করা জায়েয তার কোন নির্ধারিত সীমা রেখা তিনি নির্ধারণ করে দেন নি। সাহাবীগণ যখন সফর শুরু করতেন তখন সিয়াম ছেড়ে দিতেন। নিজেদের ঘরবাড়ি চোখের আড়ালে পড়া বা না পড়ার বিষয়টিকে মূল্যায়ন করতেন না। তারা বলতেন যে, এটিই ছিল রসূল (ﷺ) এর সুন্নাত।

[1]. বিদ্বানদের নিকট সফরে স্বাভাবিক অবস্থায় সিয়াম রাখা না রাখা উভয়ই সমান। তবে কষ্টকর হলে সিয়াম ভাঙ্গা ভাল আর কষ্টকর না হলে সিয়াম রাখাই ভাল।