তিনি রাতের প্রথমাংশে, মাঝখানে এবং শেষাংশে বিতর পড়েছেন। তিনি কোন এক রাতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র একটি আয়াত পাঠ করেছেন। আয়াতটি ছিল এই-

إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

‘‘হে আল্লাহ! তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও, তাহলে তারা তো তোমারই বান্দা। আর যদি তুমি তাদেরকে ক্ষমা করে দাও, তাহলে তুমি তো পরাক্রমশালী ও মহা প্রজ্ঞাময়’’। (সূরা মায়েদাঃ ১১৮)

রাতে তাঁর সলাতগুলো তিন ধরণের ছিল।

  • ১. অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়ে সলাত পড়তেন।
  • ২. তিনি বসেও সলাত পড়তেন।
  • ৩. তিনি বসে কিরাআত পাঠ করতেন। কিরাআতের সামান্য বাকী থাকতে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং দাঁড়িয়ে রুকু করতেন।

রসূল (ﷺ) থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বিতরের পরে কখনও বসে দুই রাকআত সলাত পড়তেন। কখনও তিনি তাতে বসে কিরাআত পাঠ করতেন। যখন রুকু করার ইচ্ছা করতেন তখন দাঁড়িয়ে যেতেন এবং রুকু করতেন।

এই হাদীসটিকে অনেকেই সমস্যা মনে করেছে। তারা এটিকে রসূল (ﷺ) এর হাদীসঃ ‘‘তোমরা রাতের শেষ সলাতকে বিতর-এ পরিণত কর’’ এর বিরোধী মনে করেছেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) বলেন- আমি এই দুই রাকআত পড়বো না এবং কাউকে তা পড়তে বাঁধাও দিবোনা। ইমাম মালেক (রহঃ) এই দুই রাকআতের প্রতিবাদ করেছেন। তবে সঠিক কথা হচ্ছে বিতর একটি আলাদা ইবাদত। এটি মাগরিবের সলাতের পূর্বের দুই রাকআত সুন্নাতের মতই। সুতরাং উল্লেখিত এই দুই রাকআত সলাত বিতর সলাতেরই পরিপূরক। স্বতন্ত্র কোন সলাত নয়।