প্রথমতঃ মানুষ অধিক লাভের আশায় নির্দিষ্ট মেয়াদের ভিত্তিতে ব্যাংকে টাকা জমা করে; যা সম্পূর্ণরূপে সূদের অন্তর্ভূক্ত। আর ইসলামে সূদ হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
الَّذِيْنَ يَأْكُلُوْنَ الرِّبَا لَا يَقُوْمُوْنَ إِلَّا كَمَا يَقُوْمُ الَّذِيْ يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوْا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا-
‘যারা সূদ খায় তারা সেই ব্যক্তির ন্যায় দাঁড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। ইহা এইজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সূদের মত। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সূদকে হারাম করেছেন’ (বাক্বারাহ ২/২৭৫)।
হাদীছে এসেছে,
عَنْ جَابِرٍ قَالَ لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم آكِلَ الرِّبَا وَمُوْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ-
জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) লা‘নত করেছেন সূদ দাতা, সূদ গ্রহীতা, সূদের হিসাব লেখক এবং সূদের সাক্ষীদ্বয়ের উপর এবং বলেছেন, (পাপের দিক থেকে) তারা সকলেই সমান’।[1]
দ্বিতীয়তঃ নির্দিষ্ট মেয়াদের ভিত্তিতে ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ নিছাব পরিমাণ হলে তার যাকাত আদায় করতে হবে। কারণ এ টাকার উপর ব্যক্তির পূর্ণ মালিকানা থাকে। সে ইচ্ছা করলে যখন-তখন তা উঠিয়ে খরচ করতে পারে।