যার নিকটে যে মানের সম্পদ বিদ্যমান সে ব্যক্তি সে মানের সম্পদই যাকাত হিসাবে প্রদান করবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে, তার নিকট একই প্রকারের বিভিন্ন মানের সম্পদ রয়েছে তাহলে সে যাকাত হিসাবে মধ্যম মানের সম্পদ দান করবে। হাদীছে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ قَالَ إِنَّكَ تَقْدَمُ عَلَى قَوْمٍ أَهْلِ كِتَابٍ فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوْهُمْ إِلَيْهِ عِبَادَةُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِذَا عَرَفُوْا اللهَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِيْ يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ فَإِذَا فَعَلُوْا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ زَكَاةً تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِذَا أَطَاعُوْا بِهَا فَخُذْ مِنْهُمْ وَتَوَقَّ كَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ-
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে শাসনকর্তা হিসাবে ইয়ামানে পাঠালেন, তখন বলেছিলেন, তুমি আহলে কিতাব লোকদের নিকট যাচ্ছ। সেহেতু তাদের আল্লাহর ইবাদতের দা‘ওয়াত দিবে। যখন তারা আল্লাহর পরিচয় লাভ করবে, তখন তুমি তাদেরকে বলবে যে, আল্লাহ দিন-রাতে তাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। যখন তারা তা আদায় করতে থাকবে, তখন তাদের জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ তাদের উপর যাকাত ফরয করেছেন, যা তাদের ধনীদের থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হবে। যখন তারা এর অনুসরণ করবে তখন তাদের হতে তা গ্রহণ করবে এবং লোকদের উত্তম মাল গ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।[1]
অন্য হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَنَسٍ رضى الله عنه أَنَّ أَبَا بَكْرٍ رضى الله عنه كَتَبَ لَهُ الصَّدَقَةَ الَّتِيْ أَمَرَ اللهُ رَسُوْلَهُ صلى الله عليه وسلم وَلاَ يُخْرَجُ فِيْ الصَّدَقَةِ هَرِمَةٌ، وَلاَ ذَاتُ عَوَارٍ، وَلاَ تَيْسٌ، إِلاَّ مَا شَاءَ الْمُصَدِّقُ-
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি যাকাতের যে বিধান দিয়েছেন তা আবু বকর (রাঃ) তাঁর (আনাস) নিকট লিখে পাঠান। তাতে রয়েছে, অধিক বয়সের দাঁত পড়া বৃদ্ধ ও ক্রটিযুক্ত বকরী এবং পাঁঠা যাকাত হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না। তবে যাকাত প্রদানকারী ইচ্ছা করলে (পাঁঠা) দিতে পারেন।[2]
[2]. বুখারী হা/১৪৫৫; মিশকাত হা/১৭৯৬।