(১৬) যাকাত আল্লাহর গযব থেকে পরিত্রাণের মাধ্যম : হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِيْنَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ وَأَعُوْذُ بِاللهِ أَنْ تُدْرِكُوْهُنَّ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِيْ قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوْا بِهَا إِلاَّ فَشَا فِيْهِمُ الطَّاعُوْنُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِيْ لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِيْ أَسْلاَفِهِمُ الَّذِيْنَ مَضَوْا وَلَمْ يَنْقُصُوْا الْمِكْيَالَ وَالْمِيْزَانَ إِلاَّ أُخِذُوْا بِالسِّنِيْنَ وَشِدَّةِ الْمَؤُنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ عَلَيْهِمْ وَلَمْ يَمْنَعُوْا زَكَاةَ أَمْوَالِهِمْ إِلاَّ مُنِعُوْا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ وَلَوْلاَ الْبَهَائِمُ لَمْ يُمْطَرُوْا وَلَمْ يَنْقُضُوْا عَهْدَ اللهِ وَعَهْدَ رَسُوْلِهِ إِلاَّ سَلَّطَ اللهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَخَذُوْا بَعْضَ مَا فِيْ أَيْدِيْهِمْ وَمَا لَمْ تَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللهِ وَيَتَخَيَّرُوْا مِمَّا أَنْزَلَ اللهُ إِلاَّ جَعَلَ اللهُ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ-
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের নিকট আসলেন। অতঃপর বললেন, হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, তোমরা যেন পরীক্ষার সম্মুখীন না হও। (১) যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সে জাতির উপর প্লেগ রোগের আবির্ভাব হয়। এছাড়াও এমন সব রোগ-ব্যধির আবির্ভাব হয় যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। (২) যখন কোন জাতি ওজন ও মাপে কম দেয়, তখন সে জাতির উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুছিবত এবং অত্যাচারী শাসক তাদের উপর নিপিড়ন করতে থাকে। (৩) যখন কোন জাতি তাদের সম্পদের যাকাত আদায় করে না, তখন তাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি চতুষ্পদ প্রাণী না থাকত তাহলে বৃষ্টিপাত হতো না। (৪) আর যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গিকার পূর্ণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের বিজাতিয় দুশমনকে তাদের উপর বিজয়ী করেন; যারা এসে এদের হাত থেকে কিছু সম্পদ কেড়ে নিয়ে যায়। (৫) আর যখন তাদের ইমামরা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিচার ফায়ছালা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে প্রত্যাখ্যান করে, তখন আল্লাহ তাদের পরষ্পরের মধ্যে যুদ্ধ বধিয়ে দেন।[1]