(৫) যাকাত সম্পদের পবিত্রকারী : যাকাত আদায় করলে সম্পদের অকল্যাণ ও অমঙ্গল দূরিভূত হয়ে তা পবিত্র হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيْهِمْ بِهَا
‘উহাদের সম্পদ হতে ছাদাক্বাহ্ গ্রহণ করবে। এর দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশোধিত করবে’ (তওবা ৯/১০৩)।
হাদীছে এসেছে,
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ : يَا رَسُوْلَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِذَا أَدَّى رَجُلٌ زَكَاةَ مَالِهِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ أَدَّى زَكَاةَ مَالِهِ فَقَدْ ذَهَبَ عَنْهُ شَرُّهُ-
জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! যদি কেউ তার সম্পদের যাকাত আদায় করে তাহলে কি হবে? রাসূল (ছাঃ) বললেন, যদি কেউ তার সম্পদের যাকাত আদায় করে, তাহলে তার সম্পদের অকল্যাণ ও অমঙ্গল দূর হয়ে যাবে।[1]
অন্য হাদীছে এসেছে,
عَنْ خَالِدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رضى الله عنهما فَقَالَ أَعْرَابِىٌّ أَخْبِرْنِيْ قَوْلَ اللهِ (وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلاَ يُنْفِقُوْنَهَا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ) قَالَ ابْنُ عُمَرَ رضى الله عنهما مَنْ كَنَزَهَا فَلَمْ يُؤَدِّ زَكَاتَهَا فَوَيْلٌ لَهُ، إِنَّمَا كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ تُنْزَلَ الزَّكَاةُ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ جَعَلَهَا اللهُ طُهْرًا لِلأَمْوَالِ-
খালিদ ইবনু আসলাম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ)-এর সাথে বের হলাম। তখন এক বেদুঈন বলল, আমাকে আল্লাহর বাণী- ‘যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও’ (তওবা ৯/৩৪) এ সম্পর্কে বলুন। তখন ইবনু ওমর (রাঃ) বললেন, যে ব্যক্তি সম্পদ জমা করেছে এবং যাকাত আদায় করেনি তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য। এই বিধান ছিল যাকাতের বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে। যখন যাকাতের বিধান অবতীর্ণ হল, তখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে সম্পদের জন্য পবিত্রতার কারণ নির্ধারণ করলেন।[2]
[2]. বুখারী হা/১৪০৪, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/৯১ পৃঃ।